• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:৪৩ পূর্বাহ্ন

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে স্ত্রীর সামনেই যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা !

/ ৪৫৬ বার পঠিত
আপডেট: বুধবার, ১১ নভেম্বর, ২০২০

কুমিল্লায় যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে স্ত্রীর সামনেই এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। বুধবার (১১ নভেম্বর) সকাল ৭টার দিকে সদর দক্ষিণ উপজেলার ধনপুর ফোনকা ব্রিক ফিল্ডের সামনে এ ঘটনা ঘটে। জিল্লুর রহমান (৪২) নামের এ স্থানীয় যুবলীগ নেতা সাবেক কাউন্সিল প্রার্থী ছিলেন।

জানা যায়, নিহত যুবলীগ নেতা ‍জিল্লুর আফজাল খাঁন গ্রুপের সমর্থক। তার  স্ত্রী ও স্বজনদের বরাত দিয়ে আরও জানা যায়, জিল্লুরের স্ত্রী একটি স্কুলের শিক্ষকতা করেন। সকালে তার স্ত্রী সন্তানকে মাদ্রাসায় দিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন। একই পথে মোটরসাইকেল যোগে শহরের উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে ১৪/১৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়।

এসময় জিল্লুরের স্ত্রীও ঘটনাস্থলেই অবস্থান করছিলেন। নিহতের হাতে ও পায়ে নৃশংস ভাবে ২০টির অধিক আঘাত করা হয়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তার স্ত্রী একটি সিএনজি যোগে আহত জিল্লুরকে কুমেক হাসপাতালে নিয়ে আসেন। মৃত্যুর আগে সিএনজিতে আসার সময় ঘাতকদের বিষয়ে জিল্লুর স্ত্রী’র কাছে অনেক তথ্য বলে গেছেন বলে জানান নিহতের নিকটাত্মীয় সবুজ মিয়াজী।

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি তদন্ত কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি মোটর সাইকেলে আসা ১৩-১৪ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী তার ওপর হামলা চালিয়ে হাত ও পায়ে কুপিয়ে আহত করে চলে যায়। এসময় তার স্ত্রী তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসার পর জিল্লুরের মৃত্যু হয়।

বেলা ১১টায় হাসপাতালে আসেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজিম উল আহসান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে হত্যাকাণ্ডে কারা জড়িত তা নিশ্চিত হতে চেষ্টা করছি। নিহতের পরিবার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এদিকে স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, জিল্লুর মহিলা এমপি সীমা খানের সাথে রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতা রয়েছে তার। স্থানীয় রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার নিয়েই জিল্লুর খুন হয়েছেন।

এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জিল্লুর ২০১৭ সালে ওই ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। নিহত জিল্লুর স্থানীয় কাউন্সিলর হাসানের উপর হামলার একটি মামলায় ১৫ দিন আগেই জেল থেকে বের হয়েছেন। সে নগর ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুল হত্যা মামলার আসামী বলেও জানা যায়। ঘটনার পরপরই থানা পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব, সিআইডি, পিবিআই এর সদস্যরা ঘটনাস্থল ঘিরে রেখে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।


আরো পড়ুন