• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫০ পূর্বাহ্ন

বিশ্বের অভিজাত ১৫০ ব্যবসায়ীর তালিকায় বাংলাদেশীর নাম….

/ ৩১৮ বার পঠিত
আপডেট: রবিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২০

আফ্রিকা, এশিয়া, ল্যাটিন আমেরিকা এবং মধ্য প্রাচ্যের ব্যবসায়িক খাত ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের ১৫০ জন উচ্চ প্রভাবশালী শীর্ষ নেতার তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশী ব্যবসায়ী, ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান। এই তালিকার প্রথম বাংলাদেশী হিসাবে, ইটিবিএল হোল্ডিংসের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী মাহবুবুর রহমান যুক্ত হলেন।

সম্প্রতি হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের (এইচবিএস) বেকার লাইব্রেরির ‘ক্রিয়েটিং ইমার্জিন মার্কেট প্রজেক্ট’ (সিইএমপি) এর আওতায় এই শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে। তার এই সাক্ষাৎকার হার্ভার্ড বেকার লাইব্রেরি সংগ্রহে রাখবে।

মাহবুবুর রহমান তার সাক্ষাৎকারে তিনি কীভাবে ১৯৬২ সালে চট্রগ্রামে ইস্টার্ন ট্রেডিং কোম্পানি (বর্তমানে ইটিবিএল হোল্ডিংস) গঠনের মাধ্যমে প্রথম ব্যবসা শুরু করেন তা বর্ণনা করেন। প্রাথমিক অবস্থায় ভোগ্যপণ্য আমদানি ও যেসব বিদেশী কোম্পানি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে পণ্য বিক্রি করতো তাদের প্রতিনিধিত্ব করেন। ষাটের দশকের শেষে ইটিবিএল হোল্ডিংস তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় একটি কোম্পানির নারকেল তেলের একক পরিবেশক নিযুক্ত হন।

মাহবুবুর রহমান তার সাক্ষাৎকারে স্বাধীনতার পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী সময়ে ব্যবসার ক্ষেত্রে বিরাজমান বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে আলোকপাত করেন। এছাড়াও তিনি ৮০-র দশকের প্রথমদিকে বেসরকারি খাতে ব্যাংক, ইন্সুরেন্স কোম্পানি এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে যে জোরালো লবিং করতে হয়েছিল- তাও উল্লেখ করেন।

মাহবুবুর রহমান দেশের প্রথম ইংরেজি আর্থিক দৈনিক ’ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস’ এর পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান। তিনি সংবাদপত্রের প্রকাশনাতে তার প্রবেশের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন সাক্ষাৎকারে। তিনি দৈনিক ‘ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস’ এর প্রারম্ভিক প্রক্রিয়া, কীভাবে তিনি দৈনিকের মূলধন বাড়াতে সক্ষম হয়েছেন, কীভাবে দৈনিকটি অন্যান্য পত্র-পত্রিকার চেয়ে শীর্ষে গিয়েছিল এবং কীভাবে এটি দ্বিতীয় শীর্ষস্থানীয় ইংরেজি ভাষার দৈনিক পত্রিকায় পরিণত হয়েছে এবং লাভজনক হয়েছে তার বিবরণ দিয়েছেন।

বাংলাদেশে দুর্নীতির মাত্রা সম্পর্কে মন্তব্য করতে বলা হলে এই ব্যবসায়ী বলেন, দুর্নীতির মূল গ্রোথিত হয় ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে। এছাড়া স্বচ্ছতার অভাব, সেকেলে আইন ও রাজনৈতিক স্বজনপ্রীতির কারণে দুর্নীতি হয়।

আইসিসি বাংলাদেশের সভাপতি হিসাবে মাহবুবুর রহমান দেশের ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের সংস্কারে নিজের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। এছাড়া তিনি ২০০৮ সালের আর্থিক সংকট ও এর পরের পরিস্থিতি বাংলাদেশ কিভাবে মোকাবেলা করেছে তারও উল্লেখ করেছেন। তিনি মনে করেন যে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার এবং বেসরকারি খাতের জন্য সবচেয়ে বড় সুযোগ দারিদ্র্য বিমোচনে জড়িত হওয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সমাধান অনুসন্ধান করা।


আরো পড়ুন