• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪০ পূর্বাহ্ন

রেলওয়ের অডিট কর্মকর্তার ‘ডুপ্লেক্স’ বহুতল ভবন, অভিযোগ দুদকে!

/ ৩০১ বার পঠিত
আপডেট: রবিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২০

প্রায় ৪৪ বছর আগে জুনয়ির অডিটর হিসেবে যোগদান করেছিলেন রেলেওয়ে পূর্বাঞ্চল কার্যালয়ে। ওই সময় তার বেতন ছিল মাত্র ২২০ টাকা। চাকরিও করেন প্রায় ৩৫ বছর। অবসরের আগে তার সবশেষ বেতন ছিল প্রায় ৪০ হাজার টাকা। চাকরিতে থাকাকালীন নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে সাবেক এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অবৈধপথে অর্জন করা অর্থের মাধ্যমে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা জেলায় নামে-বেনামে জমি ক্রয়সহ সিএমপির হালিশহর এলাকায় গড়েন তুলেনছেন একটি ডুপ্লেক্স বহুতল ভবন নির্মাণ। এমন অভিযোগ জমা পড়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)।

গত ২৯ অক্টোবর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর দফতরে এ অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জুনিয়র অডিটর হিসেবে নিয়োগ পান কুমিল্লা জেলার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম।

রেলওয়েতে দীর্ঘদিন চাকরি করে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির। চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর থানার এ ব্লকের ১৩ নম্বর লেইনের ১ নম্বর রোডের ‘ইসলাম ম্যানশন’ নামীয় প্রায় ৭ তলা বিশিষ্ট ডুপ্লেক্স ৭ তলা বাড়িও (বাড়ি-১, বাড়ি-৩) গড়েছেন। ভবনের নিচের অংশে রয়েছে দোকানপাট। ভবনের পুরো জায়গায় রয়েছে প্রায় ৮ শতাংশ জমি। এ বাড়ি ও জায়গার বর্তমান বাজারমূল্যে প্রায় ১০ কোটি টাকা।

আবার হালিশহর থানার সাগরপাড় সংলগ্ন বারনিঘাটা রয়েছে ৪০ শতাংশ জমি। কুমিল্লা জেলার কোম্পানীগঞ্জে নিজ বাড়িতে করেছেন তিনতলা বিশিষ্ট ভবন। সেখানে তার নামে-বেনামে রয়েছে জায়গা-জমি। এছাড়া তফশিলভুক্ত ব্যাংকে বিপুল অংকের টাকার এফডিআর, ডিপিএস ও বীমার অভিযোগও রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নুরুল ইসলাম বলেন, ‘দুদকে দেওয়া অভিযোগের মিথ্যা। কেউ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে অভিযোগ দিয়েছে। আমার কেনা সব সম্পত্তি বৈধ টাকায় কেনা। আমার পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি ও রেলে চাকরির টাকায় এসব সম্পদ কেনা হয়েছে। তদন্ত হলে সেখানে দেখাতে পারবো।’


আরো পড়ুন