• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২৩ পূর্বাহ্ন

চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা লক্ষ্মীপুরে!

/ ২২৬ বার পঠিত
আপডেট: সোমবার, ২ নভেম্বর, ২০২০

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:- লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে সংবাদ প্রকাশের জেরে স্থানীয় দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকসহ চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। শনিবার রাতে রায়পুর পৌরসভার মেয়র ইসমাইল খোকন বাদী হয়ে থানায় এ মামলা করেন।
রোববার বিকেলে পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) শিপন বড়ুয়া মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- লক্ষ্মীপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক বাংলার মুকুল পত্রিকার সম্পাদক একেএম মিজানুর রহমান মুকুল, নির্বাহী সম্পাদক আফরোজা রহমান রাঙ্গা, মোহনা টিভির রায়পুর প্রতিনিধি এসএন রিয়াদ উদ্দিন ও এশিয়ান টিভির রায়পুর প্রতিনিধি জহিরুল ইসলাম টিটু।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মেয়র ইসমাইল খোকন রায়পুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পেশায় ব্যবসায়ী। গত ২৮ অক্টোবর দৈনিক বাংলার মুকুল পত্রিকায় ‘রায়পুর ডাকাতিয়া নদী এখন খোকন ডাকাতের দখলে’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে রায়পুর মহিলা কলেজ থেকে জমাদার বাড়ি সাঁকো পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার নদী দখলে নেন খোকন। তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে নৌকায় বসাত মদের আসর। গত রোববার খোকন রাতের আঁধারে মাতাল অবস্থায় জাল কেটে দেয়াসহ বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করা হয়। পরে ওই পত্রিকার প্রিন্ট কপি মামলার আসামিরা নিজেদের ফেসবুকে পোস্ট ও শেয়ার করেন।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, রায়পুর ডাকাতিয়া একটি প্রবাহমান নদী ছিল। প্রায় ৩৫-৪০ বছর আগে এ নদী থেকে একটি সংযোগ ক্যানেল সোলাখালী পর্যন্ত নতুন নদী কাটা হয়। এতে রায়পুর বাজারসংলগ্ন ডাকাতিয়া নদীটি অকার্যকর হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে নদীর মাঝ বরাবর বাঁধ দিয়ে রায়পুর-হায়দরগঞ্জ সড়ক নির্মাণ করা হয়। এতে পানি চলাচল বন্ধ হয়ে মৃত নদীতে পরিণত হয়।

তখন ডাকাতিয়া নদীর দু’পাশে বদ্ধ জলাশয়ে পরিণত হয়। বাঁধের দক্ষিণ পাশে মানিক নামে এক ব্যক্তি লিজ নিয়ে মাছ চাষ করেন। এতে জলাবদ্ধ ভূমি আবর্জনা, ডেঙ্গু মশাসহ পরিবেশ দূষণ থেকে রক্ষা পেয়েছে। উত্তর পাশে মাছ চাষের জন্য কোনো লোক না থাকায় ওই স্থানটি পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। কিন্তু অভিযুক্তরা সংবাদটিতে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন ও ফেসবুকে শেয়ার করে মেয়র খোকনের মানহানি করা হয়েছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

এ ঘটনায় সুবিচার চেয়ে মেয়র খোকন বাদী হয়ে ওই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।

এ ব্যাপারে সাংবাদিক মিজানুর রহমান মুকুল বলেন, সংবাদটি প্রকাশের পর মেয়রের আপত্তির কারণে আমরা পত্রিকার অনলাইন ও প্রিন্ট সংস্করণে সংশোধন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছি। তারপরও উদ্দেশ্যমূলকভাবে এ মামলা করা হয়েছে। আইনিভাবে এটি আমরা মোকাবিলা করব।


আরো পড়ুন