• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:৪৯ অপরাহ্ন

কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী কাশেমের খুঁটির জোর কোথায়?

/ ৩০১ বার পঠিত
আপডেট: সোমবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২০
কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী কাশেমের খুঁটির জোর কোথায়?
কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী কাশেমের খুঁটির জোর কোথায়?

অনলাইন ডেস্ক :- কুমিল্লার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী নগরীর চর্থা (থিরা পুকুর পাড়) এলাকার মৃত শফিক মিয়ার ছেলে কাশেম প্রকাশ ফেন্সি কাশেমের নিয়ন্ত্রণে কুমিল্লার একাধিক মাদক স্পট। কাশেম কুমিল্লা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলায় মাদক প্রাচার করে থাকেন বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়।

স্থানীয় সূত্র জানান, কাশেমের পরিবারের সবাই চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি মাদক ব্যবসাসহ সকল প্রকার অসামাজিক কাজের সাথে জড়িত। কাশেমের এক বড় ভাই নজির যার তালিকা এখনো কোতয়ালি থানার অপরাধির তালিকা বোর্ডে শোভা পাচ্ছে। অপর আরেক ভাই নাসির প্রকাশ চোরা নাসির কিছুদিন পূর্বে কাশেমের স্পট থেকে ৯৫০ পিস ইয়াবাসহ র‍্যাব এর হাতে গ্রেফতার হয়। স্থানীয় সূত্র জানায়, আটক হওয়া ইয়াবার মালিক ছিলো কাশেম। বর্তমানে নাসিরের পুরো পরিবারের সংসার খরচ ও জামিনের ব্যবস্থা করিতেছেন কাশেম। কাশেমের বোন জামাই বড় পুকুর পাড় এলাকার আমিরও কাশেমের মাদক বিভিন্ন স্থানে প্রাচার কাজ করে থাকেন। কাশেম নিজ হাতে কখনো মাদক স্পর্শ না করলেও পুরো ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিজ হাতেই রেখেছেন। সূত্র আরো জানান, কাশেম পুলিশ, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতাদের ম্যানেজ করেই এই ব্যবসা করে যাচ্ছেন। একটা সময় কাশেম কান্দির পাড় নিউ মার্কেটে একটি মুরগী দোকানের কর্মচারী ও পরে দালানের রং মিস্তিরির সাথে হেলপার হিসেবে কাজ করতেন।

 

স-ুচতুর কাশেম বিবির বাজার এলাকার প্রভাবশালী মাদক ব্যবসায়ী শফিক মিয়াকে ধর্মের বাপ ডাকার পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। শফিক মিয়ার হাত ধরেই বর্ডার এলাকায় মাদক বহন ও পরে নিজেই ব্যবসার ধরন বুঝে ব্যবসা শুরু করেন। প্রথমে ইন্ডিয়া থেকে গাঁজা ও ফেনসিডিল কিনে এনে পাইকারি বিক্রি করলেও এখন ইয়াবার ব্যবসাকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। সমাজে কাশেমকে মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে সবাই চিনলেও রহস্যজনক কারনে পুলিশের খাতায় নাম নেই তার। অভিযোগ রয়েছে কিশোর অপরাধীদের মাদক সেবন করার জন্য নিয়মিত মাদকসহ আর্থিক সহযোগিতা করে থাকেন কাশেম।

সূত্র আরো জানান, ছিনতাই, ডাকাতি, অস্ত্রসহ কোনো অপরাধী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হলে কাশেমের নিজের টাকায় সেই অপরাধীদের ছাড়িয়ে এনে নিজের দল ভারি করেন। কাশেমের সাথে মাদক ব্যবসায় তার ভাগিনা, ভাতিজা, বড় ভাই, চাচাতো-মামাতো ভাইয়েরা জড়িত আছেন। কাশেম পুরোনো লুঙ্গি জোড়াতালি দিয়ে পড়লেও বর্তমানে ব্র্যান্ডের শার্ট, প্যান্ট, জুতো ছাড়া অন্য কিছু ব্যবহার করেন না। নিজে থাকার মতো ঘর না থাকলে-ও এখন ৫ তলা ফাউন্ডেশন করে বিল্ডিং নির্মাণ করে এসি লাগিয়েছেন সবগুলো রুমে। নিজে চলাচল ও মাদক বহনের জন্য রয়েছে একাধিক গাড়ি। ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় কিনেছেন বাড়ি। ব্যবসার সাথে নিজের স্ত্রী রাত্রীকেও জড়িত করে ফেলেছেন লোভ দেখিয়ে। কাশেমের মাদক ব্যবসার বিষয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার, কুমিল্লা সদর আসনের এমপি হাজি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের নিকট গণ সাক্ষরসহ পরিত্রাণ পেতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।


আরো পড়ুন