• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১৮ অপরাহ্ন

এমসি কলেজে গণধর্ষণ : আরো দুই আসামি গ্রেপ্তার !

/ ৪৩৮ বার পঠিত
আপডেট: সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০
asami

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূ গণধর্ষণ মামলার আরো দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে এই মামলার চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলো। গ্রেপ্তার হওয়া নতুন দুই আসামি হলেন শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি ও রবিউল ইসলাম।

আজ রোববার রাত ৯টার দিকে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ পৌর এলাকার পূর্বগুনিপাড়ার বাড়ি থেকে রনিকে গ্রেপ্তার করেন র‍্যাব-৯-এর সদস্যরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-৯-এর মিডিয়া কর্মকর্তা মো. ওবাইন।

এদিকে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মাহমুদ উল্লাহ জানান, আজ রাত ১০টার দিকে জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার এক আত্মীয়র বাসা থেকে রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। পুলিশ সুপার জানান, রবিউলকে গ্রেপ্তার করে হবিগঞ্জে আনা হয়েছে। রাতে তাঁকে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কাছে হস্তান্তর করা হবে।

জানা গেছে, স্বামীকে নিয়ে ঘুরতে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এমসি কলেজে গিয়েছিলেন এক গৃহবধূ। এ সময় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে পাঁচ থেকে ছয়জন তাঁদের জোরপূর্বক কলেজের ছাত্রাবাসে নিয়ে যান। সেখানে একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণ করেন তাঁরা। পরে ওই গৃহবধূকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় গতকাল শনিবার ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন সাইফুর রহমান (২৮), শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), তারেক (২৮), অর্জুন লস্কর (২৫), রবিউল ইসলাম (২৫) ও মাহফুজুর রহমান মাছুম (২৫)। তাঁদের মধ্যে সাইফুর রহমান বালাগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা, রনির বাড়ি হবিগঞ্জে, তারেক সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার বাসিন্দা, অর্জুনের বাড়ি সিলেটের জকিগঞ্জে, রবিউলের বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় আর মাহফুজুর রহমান মাছুমের বাড়ি সিলেটের সদর উপজেলায়।

অভিযোগ উঠেছে, মামলার এই ছয় আসামি ছাত্রলীগের কর্মী। এ বিষয়ে ওসি আবদুল কাইয়ুম জানান, মামলায় ছয়জনকে সরাসরি জড়িত বলে আসামি করা হয়েছে। তবে মামলার এজাহারে তাঁদের ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি। অন্য তিনজনের বিরুদ্ধে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়েছে।

এর আগে অভিযান চালিয়ে মামলার আসামি এম সাইফুর রহমানের কক্ষ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। গত শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে সাইফুরের কক্ষ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, চারটি রামদা, একটি ছোরা ও জিআই পাইপ উদ্ধার করা হয়।

মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে সুনামগঞ্জ ও ৪ নম্বর আসামি অর্জুন লস্করকে হবিগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলা থেকে আজ ভোরে সাইফুর রহমানকে এবং হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মনতলা এলাকা থেকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অর্জুন লস্করকে গ্রেপ্তার করা হয়।


আরো পড়ুন