না ফেরার দেশে চলে গেলেন কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী তথা অভিনেতা এস পি বালাসুব্রহ্মণ্যম (৭৪)। শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) চেন্নাইয়ের বেসরকারি হাসপাতালে শুক্রবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
করোনাকে হার মানিয়েছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। সঙ্গীত জগতে পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে কাজ করেছেন এস পি বালাসুব্রহ্মণ্যম। ১৯৪৬ সালে নেল্লোরের তেলুগু পরিবারে জন্ম কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পীর। ছোটবেলা থেকেই সঙ্গীতের প্রতি অনুরাগ। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়ার সময় বিভিন্ন সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় অংশ নিতেন। জয়ীও হতেন। সিনেমায় নেপথ্য গায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন ১৯৬৬ সালে মুক্তি পাওয়া তেলুগু ছবি ‘শ্রী শ্রী মর্যাদা রামান্না’র হাত ধরে।
গত ৫ আগস্ট করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এস পি বালাসুব্রহ্মণ্যম। নিজে সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছিলেন সেকথা। অনুরাগীদের আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, সামান্য উপসর্গ রয়েছে তাঁর। চিকিৎসকরা বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু পরিবারের বাকি সদস্যদের কথা মাথায় রেখে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তার কিছুদিন কাটতে না কাটতেই খবর আসে কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পীর স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে। ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল তাঁকে। কোমায় চলে গিয়েছিলেন এস পি বালাসুব্রহ্মণ্যম। পরে সঙ্গীতশিল্পীর ছেলে এস পি চরণ জানান, কোমা থেকে বেরিয়ে এসেছেন এস পি বালাসুব্রহ্মণ্যম। তবে তারপরও তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল।
২৪ আগস্ট আচমকা খবর রটে করোনা মুক্ত হয়ে গিয়েছেন সঙ্গীতশিল্পী। কিন্তু পরে হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ভেন্টিলেশনেই রয়েছেন বালাসুব্রহ্মণ্যম। তার শরীরে কোভিড–১৯ ভাইরাসের উপস্থিতি প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হচ্ছে।
৭ সেপ্টেম্বর বালাসুব্রহ্মণ্যমের করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে। কিন্তু তারপরেও ভেন্টিলেশনে রাখতে হয় তাঁকে। ২৪ সেপ্টেম্বর পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। তারপর এদিনই আসে দুঃসংবাদ। অনুরাগীদের শোকস্তব্ধ করে ইহজগতকে বিদায় জানালেন কিংবদন্তি। রেখে গেলেন একরাশ সুরেলা স্মৃতি। শিল্পীর মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করেছেন বিনোদন জগতের বিশিষ্টরা।