উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমের উপর হামলার মূল পরিকল্পনাকারী আসাদুল নয়, বরখাস্ত বাগান মালি রবিউল। চুরি নয়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ইউএনও উপর হামলা করা হয়েছে। এসব তথ্য জানিয়েছেন পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য।
শনিবার দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি। বলা হয়, হামলা মূল পরিকল্পনা করেছিল ইউএনও সরকারি বাসভবনের বরাখাস্তকৃত কর্মচারী রবিউল। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ওয়াহিদার উপর হামলা করেছে সে।
তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে হামলায় ব্যবহৃত মই ও হাতুড়ি উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকালে তাকে আদালতে তোলার পর আদালত তাকে ছয় দিনের রিমান্ডে পাঠায়। একই ঘটনায় ইউএনওর বাড়ির নৈশ প্রহরী পলাশকেও আটক করেছে পুলিশ।
ওয়াহিদা মামলার আরেক আসামি আসাদুলকেও আদালতে তোলা হয় আজ। ৭ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে দিনাজপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। তাকে এরই মধ্যে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল এই মামলার অপর দুই আসামি রঙ মিস্ত্রি নবিরুল ইসলাম ও সান্টু রায়কে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। এদিকে, ওয়াহিদা খানমের শারীরিক অবস্থা অনেকটা উন্নতির দিকে। দ্রুতই তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হবে বলেও রাজধানীর নিউরো সায়েন্স হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে।