• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৩৯ অপরাহ্ন

আগস্ট থেকে শুরু হয়েছে জাহাজ ভাঙ্গার কাজ

/ ৩০৩ বার পঠিত
আপডেট: শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০

করোনার কারণে দীর্ঘ পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর গেল আগস্ট মাস থেকে শুরু হয়েছে জাহাজ ভাঙ্গা কাজ। ইয়ার্ডে ইয়ার্ডে জাহাজ কাটার ব্যস্ততা বেড়েছে শ্রমিকদের। বিশ্লেষকরা বলছেন, জাহাজ কাটার নিয়ম না মানার কারনেই দিন দিন বাড়ছে এই পেশায় শ্রমিক মৃত্যুর হার।

 

 

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে জাহাজ ভাঙার ইয়ার্ড রয়েছে ৬০টির মত। তবে গেল মার্চ থেকেই করোনার  কারণে  বন্ধ থাকায় প্রায় ১৪ লাখ টনেরও বেশি র্স্ক্যাপ পড়ে রয়েছে। যার বাজারমূল্য প্রায় চার হাজার ৬৫০ কোটি টাকা। এ অবস্থায়  লাভ তো দুরের কথা ব্যাংক রিন শোধ করা নিয়েই দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন সংশ্লিস্টরা ।

বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যাসোশিয়েশন চট্টগ্রামের সভাপতি আবু তাহের বলেন, গেল বছর বিশ্বে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক জাহাজ ভাঙা হয় বাংলাদেশে। ওই বছর বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাজার থেকে পুরাতন ২৩৬টি জাহাজ আমদানি করে। যা ২০১৮ সালের চেয়ে ২০.৪১ শতাংশ বেশি। করোনার পর আবার পুরোদমে কাজ শুরু হওয়ায় স্বতি প্রকাশ করেছেন অর্থনীতি বিদরা।

তিনি আরও বলেন, ২০১৯ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জাহাজ ভাঙা নিয়ে বেলজিয়ামভিত্তিক সংগঠন দ্য এনজিও শিপ ব্রেকিং প্ল্যাটফর্ম এর রিপোর্টে বাংলাদেশ শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে।

 

বিশ্লেষকরা বলছেন,  দ্রুত জাহাজ ভাঙ্গার প্রতিযোগিতার কারণে অকালে  প্রাণ হারাচ্ছে অনেক শ্রমিক।   নিয়মনীতি উপেক্ষা করার কারণেই বিভিন্ন সময় জাহাজ ভাঙ্গার সময়  শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

শিল্প মালিকরা বলছেন, নিয়ম মেনেই কাটা হচ্ছে জাহাজ। তবে শ্রমিকরা সচেতন না হওয়ার কারনে বাড়ছে এই শিল্পে শ্রমিকের মৃত্যুর হার।


আরো পড়ুন