• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩৮ অপরাহ্ন

জুলাই-আগস্টের রপ্তানি বাণিজ্যে ঐতিহাসিক রেকর্ড হবে

/ ২৯২ বার পঠিত
আপডেট: বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২০
জুলাই-আগস্টের রপ্তানি বাণিজ্যে ঐতিহাসিক রেকর্ড হবে
জুলাই-আগস্টের রপ্তানি বাণিজ্যে ঐতিহাসিক রেকর্ড হবে

জুলাই-আগস্টের রপ্তানি বাণিজ্যে দেশে ঐতিহাসিক রেকর্ড হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

তিনি বলেন, আমাদের অভ্যন্তরীণ রিসোর্স অনেক বেশি।

সেগুলো আমরা কখনো মূল অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত করতে পারিনি। মূল অর্থনীতিতে তাদের আমরা কম পেয়েছি। এখন আস্তে আস্তে তাদের মূল স্রোতধারায় নিয়ে আসছি। এতে অর্থনীতিতে গতিশীলতা আরো অনেক বাড়বে।

বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে জুম অ্যাপসের মাধ্যমে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কোডিভ-১৯ পরিস্থিতিতেও আমাদের রেমিট্যান্স ও রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ভালো। এতে বোঝা যাচ্ছে আমাদের অর্থনীতি আবার সচল হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি সব সময় একটি জিনিস বিশ্বাস করি, সেটা হলো আমার নেই। সেই নেই থেকে আমি কিছু অর্জন করতে পারবো না। আমি মনে করি আমাদের আছে এবং তা কাজে লাগাতে হবে।

‘এই আছে-টাই কাজে লাগাচ্ছি। গত দুই মাসে আপনারা দেখতে পাবেন রেমিট্যান্স যেভাবে উপরের দিকে এগোচ্ছে ঠিক তেমনিভাবে এক ঐতিহাসিক রেকর্ড সৃষ্টি হবে জুলাই-আগস্টের রপ্তানি বাণিজ্যে। সব ক্ষেত্রই আমরা ভালোটা পাচ্ছি। আমি মনে করি এটা অব্যাহত থাকবে। এদেশের মানুষ আমাদের প্রাণশক্তি তাদের কারণেই সব সম্ভব হবে। তারা ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন তার ফল তারা পাচ্ছেন। ’

প্রধানমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের জন্য ১ লাখ টাকা প্রণোদনা দিয়েছেন। কিন্তু এসএমই উদ্যোক্তারা কোনো লোন পাচ্ছেন না। এতে সরকার বা অর্থ মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। কারণ ব্যাংকগুলো কোনোভাবেই এসএমই লোন দিতে চায় না, এতে তারা হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা চাই ক্যাশ ট্রান্সফার। যাদের অ্যাকাউন্ট নেই তাদের আমরা স্বীকার করি না বা করতে পারি না। ফলে যার টাকা পাওয়ার কথা তার হাতে গিয়ে টাকা পৌঁছায় না। আমরা এগুলো দূর করতে চাই।

তিনি বলেন, আজ যারা স্মল একদিন তারা মিডিয়াম হবেন। এরপর তারা লার্জ হবেন এটাই নিয়ম। আমি বলবো যাদের অ্যাউন্ট আছে ও তারা কী ব্যবসা করে এটা যদি তারা প্রমাণ করে আমার কাছে আবেদন করলে আমরা তাদের যতটা সহায়তার দরকার করবো। তাদের সহায়তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে আলাদা উইং আছে। সুতরাং, প্রধানমন্ত্রী যে ঘোষণা দিয়েছেন এর বাইরে কেউ না। তিনি নিজেও এগুলো তদারকি করেন। ফলে এবার হই চৈ কম হয়েছে। সবাই সরাসরি সহায়তা পাচ্ছে।


আরো পড়ুন