• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৩৩ অপরাহ্ন

নাগরিকত্ব জটিলতায় ড. বিজন শীল; বরখাস্তের খবর মিথ্যা: ডা. জাফরুল্লাহ

/ ৩৩০ বার পঠিত
আপডেট: শনিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২০
নাগরিকত্ব জটিলতায় ড. বিজন শীল; বরখাস্তের খবর মিথ্যা: ডা. জাফরুল্লাহ
নাগরিকত্ব জটিলতায় ড. বিজন শীল; বরখাস্তের খবর মিথ্যা: ডা. জাফরুল্লাহ

নাগরিকত্ব জটিলতায় কাজ করতে পারছেন না গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত করোনা শনাক্তের কিটের (অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডি) বিজ্ঞানী দলের প্রধান ও গণবিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান ড. বিজন কুমার শীল। তবে তাকে বরখাস্ত করার যে খবর রটেছে সেটিকে ‘মিথ্যা’ বলে উল্লেখ করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

জানা গেছে, ড. বিজন শীল জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক হলেও বর্তমানে তিনি সিঙ্গাপুরের নাগরিক। সিঙ্গাপুরে চাকরির সময় তিনি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়ে দিয়ে সে দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। গত ১ জুলাই বাংলাদেশে তার ‘এমপ্লয়মেন্ট ভিসা’র মেয়াদ শেষ হয়েছে। তিনি ‘এমপ্লয়মেন্ট ভিসা’র জন্য আবেদন করেছেন। এখন ট্যুরিস্ট ভিসায় তিনি বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। এ অবস্থায় ওয়ার্ক পারমিট না থাকায় তিনি গণবিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করতে পারছেন না।

এ বিষয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী যমুনা নিউজকে বলেছেন, এনবিআর থেকে বলা হয়েছে তার ‘এমপ্লয়মেন্ট ভিসা’ লাগবে। সেজন্য আবেদন করা হয়েছে। তাকে বরখাস্তের যে গুঞ্জন রটেছে সেটি মিথ্যা, ভিত্তিহীন। আমরা তার পেছনে ১০ কোটি টাকা ইনভেস্ট করেছি। তাকে কেনো স্যাক করতে যাবো? তিনি আমাদের সাথে কাজ করে খুশি। আমরাও তাকে নিয়ে সন্তুষ্ট।

জানা গেছে গত আগস্টে ড. বিজন শীলের এমপ্লয়মেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করা হয়েছে। সেটি পেলেও তিনি আবার পুরোদমে কাজ শুরু করতে পারবেন। এমপ্লয়মেন্ট ভিসা না পেলে তখন কী হবে সেটি জানতে চাইলে ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এটি কোনো বড় বিষয় নয়। এনবিআর থেকে বলেছে, আমরা দরখাস্ত করে দিয়েছি। তিনি একজন ভালো বিজ্ঞানী। তাকে আমরা রাখতে চাই।

ড. বিজন শীল যখন গণবিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন তখন তার ওয়ার্ক পারমিট ছিল জানিয়ে ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, কেউ কেউ বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এসব জটিলতায় গণস্বাস্থ্যের অ্যান্টিবডি ও অ্যান্টিজেনের কাজ অনেক পিছিয়ে গেছে। এটি করা না গেলে গণস্বাস্থ্যের ও সাধারণ মানুষের ক্ষতি হবে।


আরো পড়ুন