• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫২ অপরাহ্ন

ঝিনাইদহে গ্রেপ্তার দুই ‘জঙ্গির’ স্বীকারোক্তি

/ ৩৪৯ বার পঠিত
আপডেট: শুক্রবার, ২৮ আগস্ট, ২০২০
ঝিনাইদহে গ্রেপ্তার দুই ‘জঙ্গির’ স্বীকারোক্তি
ঝিনাইদহে গ্রেপ্তার দুই ‘জঙ্গির’ স্বীকারোক্তি

ঝিনাইদহে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য সন্দেহে গ্রেপ্তার দুই যুবক আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।

ঝিনাইদহ আদালত পুলিশের পরিদর্শক রবিউল ইসলাম খান জানান, বুধবার জেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. মিজানুর রহমান তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

এরা হলেন ইনামুল হক ও সিরাজুল ইসলাম।

গত রোববার [২৩ অগাস্ট] রাতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাগান্না গ্রাম থেকে হরিনাকুন্ডু লালন শাহ কলেজের দর্শনের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ইনামুল হক ও কেসি কলেজের স্নাতকের শিক্ষার্থী সিরাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিট-এটিইউ।

ওই সময় তাদের কাছ থেকে বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ নানা সামগ্রী উদ্ধার করা হয় বলে এটিউ জানিয়েছে।

পরিদর্শক রবিউল ইসলাম খান জানান, গ্রেপ্তারের পর আদালতে হাজির করা হলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইদিনের হেফাজতে [রিমান্ড] নেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে বুধবার আদালতে হাজির করলে তারা ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

এটিইউ-এর পুলিশ সুপার আসলাম খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নিষিদ্ধ সংগঠন আনসার আল ইসলামের দুই সদস্য ‘সত্যের সন্ধানে সেই যুবক’ আর ‘আমি যোদ্ধা নবীর উম্মত’ নামে ফেইসবুক আইডি খুলে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে কটূক্তিমূলক স্ট্যাটাস দিয়ে আসছিল বলে পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিটের [এটিইউ] কাছে স্বীকার করেছেন।”

তারা এই ফেইসবুকে জিহাদি এবং শারীরিক প্রশিক্ষণ বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দেওয়া ছাড়াও ধারালো অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্রের ছবি পোস্ট করার কথাও স্বীকার করেছেন, বলেন আসলাম খান।

এই এটিইউ কর্মকর্তা আরও বলেন, “আনসার আল ইসলামের নেতা মুফতি জসিম উদ্দিন রাহমানীর বক্তব্য শুনে উদ্বুদ্ধ হলেও আনসার আল ইসলাম যে তার সংগঠন সেটা তারা জানত না বলে জানিয়েছে। তবে তারা জসিম উদ্দিন রাহমানীর বক্তব্য তাদের ফেইসবুকে পোস্ট করত।”

আসলাম খান বলেন, ‘গাজওয়াতুল হিন্দ’ নামের একটি ফেইসবুক পেইজ থেকে পছন্দের পোস্টগুলোও কপি করে পোস্ট দেওয়া ছাড়াও বিভিন্ন ইসলামী পেইজ নিয়েও ঘাঁটাঘাঁটি করতেন এবং সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতেন এই দুইজন।

গ্রেপ্তারের পরপরই ঝিনাইদহে এক সংবাদ সম্মেলনে এটিইউ সহকারী পুলিশ সুপার শফিকুল ইসলাম বলেছিলেন, গ্রেপ্তাররা পুরাতন মোবাইল ফোনের ব্যাটারি, বৈদ্যুতিক তার ও বোমা তৈরির অন্য উপাদন দিয়ে শক্তিশালী বিস্ফোরক তৈরির বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করে আসছিলেন।

এই গ্রুপের আরও সদস্য আছ এবং তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন।


আরো পড়ুন