অনলাইন ডেস্ক;- ৪ বছর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন প্রথমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে হোয়াইট হাউজের মসনদে বসেছিলেন তখনই তাকে ঘিরে অনেক নারীর নাম জড়িয়েছিল। এমনকি ওই সময়ের নির্বাচনী প্রচারণায়ও ট্রাম্পের ব্যক্তি জীবনের নানা ‘নারী কেলেঙ্কারির ঘটনাকে’ সামনে নিয়ে আসছিল বিরোধীপক্ষ।
ডেমোক্রেটরা তখন নানাভাবে ট্রাম্পকে উস্কে দিচ্ছিল। অনেক হলিউডের অনেক নামিদামি তারকাও ট্রাম্পকে নারীলিপ্সু বলে বাণ ছুড়েছিল। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়নি। শেষ পর্যন্ত ট্রাম্পই সব হিসাবের গণেশ উল্টে দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হন।
৪ বছর পর আবারও ঘনিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আগামী ডিসেম্বরের সেই নির্বাচনকে ঘিরে ট্রাম্পের দল ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান পার্টি ও আসন্ন নির্বাচনে বিরোধী শিবির ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেন সমর্থকরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন। দুই দরের নেতারাই পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন।
আবারও অনেকেই আত্মপ্রশংসায় পঞ্চমুখ হচ্ছেন। আবার নিজের প্রার্থীর প্রশংসা করতে করতে কখনোবা ভুল তথ্যও দেয়ার ঘটনা ঘটছে। ট্রাম্পের ছেলের বউ এরিখপত্নী লারা গেল নির্বাচনেও শ্বশুরকে বিজয়ী করতে মাঠে দারুণ ভূমিকা রেখেছেন। এবারও শ্বশুরকে হোয়াইট হাউজে রাখতে চান ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা দলের উপদেষ্টা লারা।
বুধবার রাতে রিপাবলিকান দলের সম্মেলনে বক্তৃক্ত দিচ্ছিলেন ৩৭ বছর বয়সী লাস। এসময় শ্বশুরের প্রশংসা করতে করতে একটা পর্যায়ে তিনি ভুলবশত বলে ফেললেন, ‘ট্রাম্প (আমার শ্বশুর) জাতিসংঘের মহাসচিবকে নিয়োগ দিয়েছেন।’ লারা এসময় তার শ্বশুর ট্রাম্প কোন নারীকে কী দিয়েছেন, কোন নারীকে কোন পদে আসীন করেছেন সেসব কথাও তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অধিকাংশ নারীদের প্রশাসনের বড় বড় পদে নিয়োগ দিয়েছেন। জাতিসংঘের সচিব, বিমান বাহিনীর সচিব, প্রথম নারী সিআইএ পরিচালক, ফিশ অ্যান্ড ওয়াইল্ড লাইফ সার্ভিসের প্রথম আফ্রিকান আমেরিকান মহিলা পরিচালক ও অগণিত নারী রাষ্ট্রদূত্ব নিয়োগ তিনিই দিয়েছেন।’
লারা নিজের শ্বশুর সম্পর্কে এ-ও বলেন, ‘শুধুমাত্র ভোটের হিসাব কষেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এগুলো করেননি। তিনি এসব করেছেন, কারণ তার কাছে এগুলো সঠিক মনে হয়েছিল।’