• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩৪ অপরাহ্ন

নাথেরপেটুয়াতে মাদকের ছড়াছড়ি, যেন চোর ধরার মেশিন চুরির গল্প!

/ ৪৩৩ বার পঠিত
আপডেট: মঙ্গলবার, ২৫ আগস্ট, ২০২০

মোহাম্মদ জানে আলমঃ- বিস্তারিতঃ মাদক মানেই ধ্বংসাত্মক থাবা, যা তিলে তিলে একটা জীবনকে করতে পারে মৃত্যুপুরীর সম্রাজ্য।  তবুও আমরা জীবনের তোয়াক্কা না করে আলিঙ্গন করে নিচ্ছি সমাধিতে।  যেখানে সবাই নিজের জীবন বাঁচাতেই অধম, সেখানে মাদক প্রেক্ষাপট তো তুচ্ছ।
আরেকটু আলিঙ্গনে বলি- স্বার্থের কাছে সবই জিম্মি, নিজের আধিপত্য কিংবা পেশী শক্তি বর্ধনে যে কোন অন্যায় কে প্রশ্রয় দিতে তারা প্রস্তুত।
তেমনটা হবে বলছি না, হতেও পারে বর্তমানে সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে।
সমাজের কিছু আজব লোক আছে যারা এক কাপ চায়ের কাছেও নিজের নীতি-নৈতিকতা বিক্রি করে আর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে বলার অবকাশ রাখে না।

হয়তো সেখান থেকেই প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ হয়।
সচেতন মহল প্রতিবাদ করতে গিয়ে কোনো কূলকিনারা না পেয়ে এদিক-ওদিক দোষের তীর নিক্ষেপ করতে থাকে, তাতে কোন সমাধান না হয় উল্টে স্বার্থের ধামাচাপায় আটকে পড়ে।
এগুলো কোন গল্প নয় নাথেরপেটুয়া বাজার সংলগ্ন চারপাশের বর্তমান পরিস্থিতি।
আপনি চাইলেই নাথেরপেটুয়ার চারপাশে যে কোন মাদক সংগ্রহ করা সম্ভব, তাও আবার লোকজন সমাগম অবস্থায়।

বুঝার কোন উপায় নেই, হাতে হাত মিলিয়ে কিংবা চোখের ইশারায় নিরাপদ স্থানে মাদক হস্তান্তর।
ইতিপূর্বে মাদকবিরোধী কার্যক্রমের তৎপরতা ছিল, বর্তমানে তেমন তৎপরতা দেখা যায় না। হয়তো সে জন্যেই আবার- “উৎপেতে থাকা শেয়াল শকুন উত পেতে থাকা হায়না” সঙ্গবদ্ধ হয়ে সক্রিয়।

তার প্রেক্ষিতে ওই এলাকার সচেতন মহল চিন্তিত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন প্রশাসনের নাকের ডগায় থেকেই মাদক আদান প্রদান করছে তাদের এত কঠোর নজরদারির মধ্যেও যদি চলতে থাকে, তাহলে বুঝতে হবে তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে এলাকাভিত্তিক কোন রাঘববোয়াল।
স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের কে জিজ্ঞেস করলে বলেন- আমাদের মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা ছিল আছে এবং থাকবে। দেখলাম মাদক প্রেক্ষাপট প্রায় জিরো টলারেন্সে আসলো, কিন্তু মনে হচ্ছে আবার তারা সক্রিয়। মনে হচ্ছে পরিস্থিতি সামলাতেই তখন ডুব দিয়ে ছিলো।
প্রশাসনের সাথে কথা বল্লে তারা বলেন মাদকের বিষয়ে কোনো আপস নয়, চিহ্নিত মাত্রই সর্বোচ্চ হস্তক্ষেপ।

তাহলে এত ইতিবাচক দমনের প্রয়াস থাকা সত্বেও নাথেরপেটুয়া এলাকায় চলছে মাদকের ছড়াছড়ি অবিরাম, যেমনটা চোর ধরতে মেশিন আমদানি করে, শেষ পর্যন্ত- “চোরে মেশিনই চুরি করে নিয়ে গেল” সেই গল্পের মতো।
এমন নয় তো- বেড়া ক্ষেত খায়? প্রশ্নটি রয়েই গেল!


আরো পড়ুন