মাত্র এক সপ্তাহ আগে গাইনোকলজি ও অবস্টেট্রিকসে মাস্টার অব সার্জারি করেছিলেন ৩০ বছরের তরুণী ডাক্তার যোগীতা গৌতম।
ভারতের দিল্লির শিবপুরীর বাসিন্দা যোগীতা আগ্রার এস এন মেডিক্যাল কলেজ থেকে ডাক্তারি পাস করেছিলেন। সেখানেই তাঁকে খুন করা হলো কুপিয়ে। রক্তাক্ত ও ক্ষতবিক্ষত দেহ কাঠের তক্তার নিচ থেকে উদ্ধার করেছে দিল্লি পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত্যুর আগে একাধিকবার ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় তাঁকে। এরপর তাঁর মুখ ক্ষতবিক্ষত করে দেওয়া হয়। বুধবার খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না যোগীতাকে।
বৃহস্পতিবার রাতে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। এ ঘটনায় যোগীতার সহকর্মী ও সিনিয়র ডাক্তার বিবেক তিওয়ারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরই মধ্যে তিনি নিজের অপরাধ স্বীকার করেছেন।
জানা গেছে, প্রায় সাত বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তাঁদের। সম্প্রতি সে সম্পর্কে চিড় ধরে। মানে ওই তরুণী ডাক্তার প্রেম চালিয়ে যেতে অস্বীকৃতি জানায়, ফলে প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে উঠেছিলেন বিবেক।
গত মঙ্গলবারই বিবেক দেখা করতে গিয়েছিলেন যোগীতার সঙ্গে। সেদিনই তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পুলিশকে বিবেক জেরায় বলেছেন, ঝগড়ার পরই আমি ওকে টেনে নিয়ে গিয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে কোপাই। কাঠের একাধিক তক্তার নিচে ওর দেহ ফেলে দিই।
তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে যোগীতার দেহে তিনটি গুলিও পাওয়া গেছে। একটি গুলি মাথায়, দুটি বুকে লেগেছিল। গলায় গভীর ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। বিবেক তিওয়ারির কানপুরের বাড়ি থেকেই যোগীতাকে অপহরণ করার গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। বাবা বিষ্ণু তিওয়ারির লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুক ব্যবহার করেই যোগীতাকে খুন করেছেন বিবেক।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।