• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩২ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার আরো বেড়েছে

/ ২৯৯ বার পঠিত
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ২০ আগস্ট, ২০২০
বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার আরো বেড়েছে
বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার আরো বেড়েছে

বেড়েই চলেছে অর্থপাচার। বিশ্বের ১৪১ টি দেশের মধ্যে ‍অর্থপাচারে বাংলাদেশ এখন ৩৮ তম। শুধু তাই নয় দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পরই পাচারের শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশের নাম।

আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলছে, আমদানি-রপ্তানির আড়ালে হচ্ছে বড় অংকের অর্থ পাচার।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় এ অবস্থার উন্নতি হচ্ছে না। ব্যবসা-বাণিজ্য, আমদানি-রপ্তানিতে এক উদিয়মান অর্থনীতির দেশের নাম বাংলাদেশ। তবে এ দেশের অর্থনীতির জন্য দুশ্চিন্তার সবচেয়ে বড় কারণ-অর্থপাচার। ভয়াবহ আকারে হচ্ছে পাচার।

যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফিনান্সিয়াল ইন্টিগ্রির হিসেবে, গেল দশ বছরে এ দেশ থেকে গড়ে পাচার হয়েছে ৬৪ হাজার কোটি টাকা।

জিএফআই বলছে, আমদানি রপ্তানির আড়ালেই হচ্ছে সিংহভাগ পাচার। চলতি বছরের এন্টি মানি লন্ডারিং ইনডেক্সে দেখা যায়, পাচারকারি হিসেবে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৩৮ তম। ২০১৭ সালে এই সূচকে বাংলাদেশর অবস্থান ছিলো ৮২ তম।

অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. বিদিশা বলছেন, বড় অংকের অর্থ পাচারে চাপে পড়ছে পুরো অর্থনীতি।

এদিকে, বাংলাদেশ থেকে ২০০৪ সালে সুইস ব্যাংকে ডিপোজিটের পরিমান ছিলো ৩.৬৫ বিলিয়ন ডলার, ২০১৯ এ তা দাড়িয়েছে ৫৩.৬৭ বিলিয়ন ডলার। শুধু তাই নয় সুইস ব্যাংকে দক্ষিন এশিয়ার মধ্যে অর্থ ডিপোজিটে বাংলাদেশ এখন দ্বিতীয়।

বাংলাদেশ জার্মান চেম্বারের সভাপতি ওমর সাদাত বলছেন, পাচার হওয়া বেশিরভাগ অর্থ যাচ্ছে ইউরোপ, আমেরিকায়। দেশের অর্থনীতি বাঁচাতে পাচার বন্ধের বিকল্প নেই বলেও মত তার।

অর্থ আইন বিশেষজ্ঞ ব্যারিষ্টার এম এ মাসুম মনে করেন- আইনের দূর্বলতা নেই তবে পাচার বন্ধে আইনের সঠিক প্রয়োগ দরকার।

এছাড়া পাচার বন্ধে কেন্দ্রিয় ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় প্রয়োজন বলেও মত দেন বিশেষজ্ঞরা।


আরো পড়ুন