• রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:৪০ পূর্বাহ্ন

আমদানির খবরে হিলি বন্দরে কমছে কাঁচামরিচের ঝাঁঝ প্রতি কেজি ৪০০ টাকা

/ ১৮১ বার পঠিত
আপডেট: রবিবার, ২ জুলাই, ২০২৩

হিলি প্রতিনিধি:-

পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে টানা ৬ দিনের ছুটি শেষে আগামীকাল ৩ জুলাই সোমবার থেকে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি রফতানি শুরু হবে। ধারনা করা হচ্ছে সেই সাথে এই বন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করবে ভারতের কাঁচা মরিচ। এমন খবরে এক দিনের ব্যবধানে হিলি স্থলবন্দর খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচের দাম কমেছে কেজিতে ১০০-১২০ টাকা। বন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচের আমদানি অব্যাহত থাকলে বাজারে পণ্যটির দাম কমে স্বাভাবিক অবস্থায় আসবে আশা ক্রেতা বিক্রেতাদের। আজ বন্দরের খুচরা বাজারে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৮০-৪০০ টাকা কেজি।  

রবিবার (২ জুলাই) হিলি বন্দরের কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ কম থাকলেও গতকাল যে কাঁচা মরিচ ৫০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। আজ সেই কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আর এতে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে সাধারণ ক্রেতাদের।   

হিলি বাজারে কাঁচামরিচ কিনতে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন থেকে কাঁচা মরিচের যে দাম বেড়েছে বাজারের অন্য পণ্যর চেয়ে এর দাম বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই ভয়ে কিনি নাই। তবে আজ  কাঁচা মরিচের ঝাঁঝ একটু কমেছে। আজ বাজারে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি। তাই ২৫০ গ্রাম ১০০ টাকা কিনলাম।   

হিলি সবজি বাজারে আসা আরাফাত হোসেন বলেন, দীর্ঘ দিন থেকে বাজারে সব পণ্যের দাম বাড়ছে। এতে করে আমাদের মতো সাধারণ ও নিন্ম আয়ের মানুষের সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। আজ বাজারে এসে হাঠাৎ কাঁচা মরিচের দাম কমেছে শুনে কিছুটা স্বস্তি লাগছে। গতকাল এই পণ্যটি ৫০০ টাকা বিক্রি হয়েছে। আজ বাজারে সেই কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৮০-৪০০ টাকা। তাই পরিবারের জন্য অল্প করে নিলাম।

হিলি বাজারের সবজি বিক্রেতা ফারুক হোসেন বলেন, নানা অযুহাতে বাজারে কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি হিলি বন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচের আমদানি শুরু হলেও বাজারে পণ্যটির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। গত কয়েক দিনের গরম ও বৃষ্টির কারণে অনেক জায়গায় মরিচের ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় পণ্যটির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি হলে বাজারে দাম কমে স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছি। আজ মোকামেই কাঁচা মরিচের দাম একটু কম তাই কম দামে আমরাও বিক্রি করছি।

হিলি স্থলবন্দরের কাঁচা মরিচের আমদানিকারক সততা বাণিজ্যলয়ের স্বত্বাধিকারী আলহাজ্ব বাবলু রহমান বলেন, দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের দাম সহনশীল রাখতে সরকার গত ২৫ জুন ভারত থেকে আমদানির অনুমতি (আইপি) দেয়। ফলে ২৬ জুন বন্দরের কয়েকজন আমদানিকারক বেশ তিন হাজার টন কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি পায়। সেই মোতাবেক আমিও কাঁচা মরিচ আমদানির জন্য এলসি খুলে গত ২৬ জুন তিনটি ট্রাকে আমার ১৭ মেঃ টন কাঁচা মরিচ বন্দরে প্রবেশ করেছে। এসব বন্দরের ভিতরে ট্রাক সেল হিসেবে ২০০-২০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হয়েছে। তবে মাত্র একদিন বন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে। এরপর ঈদের ছুটির কারণে বন্দর দিয়ে আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। ঈদের ছুটি শেষে আবারও আমদানি শুরু হলে দাম কমে আসবে বলে আশা করছি।

হিলি কাস্টমস এর তথ্য মতে, গত ২৫ জুন ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়। ফলে ২৬ জুন পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দরের সাত আমদানিকারক তিন হাজার টন কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি পান। সেই মোতাবেক ২৬ জুন থেকেই আবারও বন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। 

এদিকে হিলি বন্দরের পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাপ বলেন, ঈদুল আযহা উপলক্ষে টানা ৬ দিনের ছুটি শেষে আগামীকাল ৩ জুলাই বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি রফতানিসহ সকল কার্যক্রম পূর্বের নিয়মে চালু হবে। দীর্ঘ দিন পর গত ২৬ জুন বন্দর দিয়ে পাঁচটি ট্রাকে ২৭ মেঃ টন কাঁচা মরিচ ভারত থেকে বন্দর প্রবেশ করেছে। আগামীকাল থেকে আবারও বন্দরে কাঁচা মরিচ প্রবেশ করবে বলে আশা করছি।


আরো পড়ুন