• রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:২৭ পূর্বাহ্ন

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য পরিবহন বন্ধ রেখেছে ভারতীয় ট্রাক চালকরা

/ ৭৫ বার পঠিত
আপডেট: মঙ্গলবার, ৬ জুন, ২০২৩

হিলি প্রতিনিধি:-
বাংলাদেশে প্রবেশের পর বিভিন্ন সুযোগ- সুবিধার দাবীতে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি পণ্য পরিবহন বন্ধ রেখেছে ভারতীয় ট্রাক চালকরা।

রোববার (৪ জুন) সারাদিন তারা এই কার্যক্রম বন্ধ রাখেন। ফলে দুই দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি- রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।

ভারতীয় ট্রাক চালকরা জানান, আমরা ভারত থেকে প্রতিদিন আমদানি পণ্য নিয়ে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে বাংলাদেশের হিলি পানামা পোর্টে প্রবেশ করি। সেখানে ব্যবসায়ীরা সময়মত ট্রাক থেকে পণ্য খালাস না করায় দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করতে হয়। একারণে থাকা, খাওয়ার কষ্ট হয়। আমরা বাজার করার জন্য বাইরে যেতে চাইলে অনুমতি দেওয়া হয় না। এসব নিয়ে গতকাল পানামা পোর্ট কতৃপক্ষের সাথে কথা বলতে গেলে আমাদের ড্রাইভারদের উপর চড়াও হয়। একপর্যায়ে আমাদের ড্রাইভারকে মারপিট ও লাঞ্চিত করে। তাই আমাদের দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আজ থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে আমদানি পণ্য ট্রাকে পরিবহন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

হিলি আমদানি রফতানি কারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, গতকাল ভারতীয় ট্রাক চালকদের সাথে হিলি পানামা পোর্ট কতৃপক্ষের বাকবিতন্ডা হয়েছে। ভারতীয় ট্রাক চালকদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা বাংলাদেশে আমদানি পণ্য ট্রাকে পরিবহন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই আজ সারাদিন দুই দেশের মধ্যে আমদানি রফতানি বন্ধ রয়েছে।

এদিকে হিলি স্থলবন্দরের পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক জানান, ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভারদের কি সমস্যা আছে সেটি তারা আমাদের জানায়নি। কিন্তু গতকাল বিকালে হঠাৎ করেই তারা মারমুখি হয়ে পানামা পোর্টের গেটে অবস্থান নেয়। এতে করে রাস্তায় যানজট সহ আমদানি- রপ্তানি পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল ও বিভিন্ন কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। পরে নিরাপত্তা কর্মীরা তাদের সরিয়ে দেয়। ড্রাইভারদের অভিযোগ সত্য নয়।
তিনি আরও জানান, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা সহ কিছু বিধি নিষেধের কারণে ড্রাইভারদের বাইরে যেতে দেওয়া হয় না। এর আগে তারা বিভিন্ন অপরাধ ও অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েছিল। একারণে তাদের পানামা পোর্টে থাকা, বাজার করা সহ সকল সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে ভারতীয় ট্রাক চালকরা আমদানি পণ্য পরিবহন বন্ধ রাখলেও বন্দরে পণ্য খালাস ও লোড-আনলোড কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিলো।


আরো পড়ুন