• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৩ অপরাহ্ন

হিলিতে দেশীয় পেঁয়াজের ঝাঁজ বেড়েছে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা

/ ১২৪ বার পঠিত
আপডেট: রবিবার, ৪ জুন, ২০২৩

হিলি প্রতিনিধি:-
ভারত থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় এক রাতের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে দেশীয় পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমদানি না হলে আসন্ন কোরবানীর ঈদে পেঁয়াজের বাজার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাহিরে যাবে বলে শঙ্কা ব্যাবসায়ীদের। পেঁয়াজের দাম ক্রেতা সাধারণের নাগালে রাখতে আমদানির দাবি বন্দরের ব্যবসায়ী ও সাধারণ ক্রেতাদের। অন্য দিকে আদা গত এক সপ্তাহ থেকে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা ও রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা।

শনিবার (৩ জুন) হিলি বাজার ঘুরে জানা যায়,গতকাল শুক্রবার যে পেঁয়াজ খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছে কেজিতে ৭০ টাকা সেই পেঁয়াজ আজ শনিবার সকালে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে।
খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ আমদানি বন্ধের পর থেকেই দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।এতে পেঁয়াজ কিনতে আসা ক্রেতা সাধারণ প্রায় বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ছেন।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা রেজা আহম্মেদ জানান, রমজান মাসে ৩০/৩৫ টাকায় পেঁয়াজ কিনেছি। এরপর থেকে কয়েক দফায় দাম বৃদ্ধি পেয়ে ৭০ টাকা হয়। কিন্তু রাতের ব্যবধানে ১০ টাকা বেড়ে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আদা ২৮০ টাকা কেজি আর রসুন ১২০ টাকা কেজি।বাজারে পেঁয়াজ কিনতে এসে বোকা সেজে গেলাম। আর এভাবে দাম বৃদ্ধি পেলে সামনে কোরবানি ঈদে পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হবে মনে হচ্ছে। কুরবানী ঈদে পেঁয়াজ, আদা, রসুন ও মসলা বেশি দরকার। যেভাবে দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে বাজারে এসে আমাদের খালি হাতে বাড়ি ফেরত যেতে হবে! এছাড়া উপায় নাই।

হিলি বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা রুবেল হোসেন জানান,গতকাল শুক্রবার ৭০ টাকায় বিক্রয় করছি। আজ সেই পেঁয়াজ পাইকারি কিনতে হচ্ছে ৭৫ টাকা কেজি। বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেছে। মোকামে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। পাইকারদের কাছে বেশী দামে কিনে বেশী দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, কৃষকের কাছে তেমন পেঁয়াজ নেই। এখন যা পেঁয়াজ আছে আড়ৎদারদের কাছে। ঈদের আগে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি না হলে পেঁয়াজ এর সেঞ্চুরি পার হয়ে যেতে পারে। অন্য দিকে আদা প্রতি কেজি বিক্রি করছি ২৮০ টাকা কেজি আর রসুন ১২০ টাকা কেজি। দাম বৃদ্ধি পেলে আমাদের বেচা বিক্রিও কমে যায়।

পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা আবু তাহের বলেন, পাবনা মোকামেই আজ শনিবার দেশীয় পেঁয়াজ ৩০০০ টাকা মন কিনেছি। প্রতি কেজি ৭৫ টাকা মোকামেই পেঁয়াজের দাম বেশি। মোকামে বেশি হলে নিয়ে আসার খরচ আছে এবং আমাদেরকেও ২/১ টাকা লাভ করতে হবে। আজ শনিবার বিক্রি করছি ৮০ টাকা কেজি দরে। যা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় করেছি।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক আলহাজ্ব শহিদুল ইসলাম জানান, দেশীয় কৃষকের উৎপাদিন পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে গত ১৫ মার্চ থেকে সরকার পেঁয়াজের আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) বন্ধ করে দেয়। ফলে পরদিন ১৬ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। আমদানি বন্ধের পর থেকে দফায় দফায় বৃদ্ধি পাচ্ছে দেশীয় পেঁয়াজের দাম। সামনে আমাদের  কোরবানীর ঈদ, বাজারে পেঁয়াজের চাহিদা আরও বেড়ে যাবে। সরকার অনুমতি দিলেই আমরা ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে প্রস্তত  আছি।  সরকারের উচিৎ খুব শীঘ্রই পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া। তা-না হলে দাম ডাবল সেঞ্জুৃরী করবে বলে মনে করছেন তিনি। আর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হলে এক দিনের ব্যবধানে ১০-২০ টাকা কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম কমে আসবে বলে আশা করছেন তিনি।


আরো পড়ুন