• মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন

যুবলীগ কর্মী শহীদুল আলম হত্যা মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানা ভুক্ত পলাতক আসামি মোঃ রাশেদ ০৮ বছর পর গ্রেফতার

/ ১৮২ বার পঠিত
আপডেট: শনিবার, ৩ জুন, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:-
নিহত ভিকটিম শহীদুল আলম ওরফে শহীদ ঘটনার কিছু দিন পূর্বে বিদেশ হতে দেশে আসেন এবং জীবিকার তাগিদে নিজ এলাকায় কাঠের ব্যবসা শুরু করেন। রাউজানের শীর্ষ সন্ত্রাসী আজিজ ভিকটিম শহিদুলকে কাঠের ব্যবসা ছেড়ে তার নেতৃত্বে রাউজানের সন্ত্রাসী আজিজ বাহিনীতে যোগ দিতে বলে। ভিকটিম শহীদুল আলম উক্ত প্রস্তাবে রাজি না হলে আসামিরা তাকে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

পরবর্তীতে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ইং তারিখ বেলা অনুমানিক ১৫০০ ঘটিকার সময় আসামীরা একটি মাইক্রোবাস ও একটি প্রাইভেটকারে এসে ভিকটিমকে একটি দোকানে বিশ্রামরত অবস্থায় এলোপাতাড়ি ভাবে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি বর্ষণ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। উক্ত ঘটনার খবর পেয়ে ভিকটিমের মা ঘটনাস্থলে এসে শহীদুল আলমকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মৃত দেখতে পায়।

উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের মা সখিনা বেগম বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং- ১৪(০২)১৫; ধারা-৩০২/৩৮০/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০।

উক্ত হত্যা মামলার পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোয়েন্দা নজরদারী ও ছায়াতদন্ত অব্যহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় র‍্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানার আলোচিত শহীদুল আলম হত্যা মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত পলাতক আসামী মোঃ রাশেদ ওরফে ভূতাইয়া চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানাধীন রাউজান বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল গত ০১ জুন ২০২৩ ইং তারিখে বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে মোঃ রাশেদ ওরফে ভূতাইয়াকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে শহীদুল আলম হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী মর্মে স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় সে আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে দীর্ঘ ০৮ বছর যাবৎ চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে ছিল।

গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরো পড়ুন