• মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৩:৫১ অপরাহ্ন

খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের বরাদ্দকৃত বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে অনিয়ম

/ ২১২ বার পঠিত
আপডেট: শুক্রবার, ২ জুন, ২০২৩

আল আমিন রনি, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি::

খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গায় ২০১৮ সালে ভেঙ্গে যাওয়া ধলিয়া খালের ওপর নির্মাণাধীন সেতুর কাজ ৪ বছরেও শেষ হয়নি। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ২০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। এজন্য নির্মাণকারী সংস্থা জেলা পরিষদকে দায়ী করেছেন স্থানীয়রা। গুইমারার মারমা উন্নয়ন সংসদ ও ছাত্রাবাস উন্নয়ন কাজের  মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে ৩০% কাজও হয়নি বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।

২০১৯-২০২০ অর্থবছরে সেতু নির্মানের জন্য অর্থ বরাদ্দ করে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ। এর পর ৪ বছর পার হলেও সেতুটির ৪০% কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। এতে ভোগান্তিতে পরেছে স্থানীয়রা, বন্ধ রয়েছে মালামাল পরিবহনও।

বার বার বলার পরও সেতু নির্মাণে বিলম্বকে দায় করছেন ইউপি সদস্য ও স্থানীয় জনসাধারণ। এসময় ব্রিজটি দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য উদ্ধোতন কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি করেন।

অপরদিকে গুইমারার মারমা উন্নয়ন সংসদ ও ছাত্রাবাস উন্নয়ন কাজের  মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও ৩০% কাজও হয়নি বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, জমির মালিকানা নিয়ে জটিলতার থাকায় শুধু মাত্র পিলার করে রাখা হয়েছে কাজের তেমন কোনো অস্থিত্য নেই। কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্পটি ২০১৭ সালে কাজ শুরু করে ২০২২ সালে শেষ করার কথা থাকলেও এখনো পর্যন্ত কাজ শেষ হয়নি ছাত্রাবাসটির।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই জায়গায় এর আগেও মারমা উন্নয়ন সংসদ এর ছাত্রাবাস ছিল। পরে ছাত্রাবাসটি নতুন করে নির্মাণের জন্য বরাদ্দ আসলে পুরাতন ভবন ভাঙার পর থেকেই জায়গার মালিকানা নিয়ে নানান জটিলতার কারনে ছাত্রবাসটির কাজ বন্ধ হয়ে পরিত্যাক্ত অবস্থায় রয়েছে। 

বরাদ্দকৃত মাটিরাঙ্গার সেতু নির্মাণ ও গুইমারার মারমা উন্নয়ন ছাত্রাবাসের নির্মাণের কাজের বিলম্বের বিষয় জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রশান্ত কুমার হাওলাদার এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেতুটির কাজ চলমান রয়েছে, শিগ্রই নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে। এছাড়া গুইমারার ছাত্রাবাস নির্মাণের বিষয়ে আমি অবগত নই তবে যতটুকু জানি ভূমি জটিলতার কারনে কাজটি আপাতত বন্ধ আছে। 


আরো পড়ুন