• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪৯ অপরাহ্ন

হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী ৩০ বছর পর গ্রেফতার!

/ ৯৯ বার পঠিত
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ২৫ মে, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:-
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় সহপাঠীকে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মোঃ শাহাবুদ্দিন’কে দীর্ঘ ৩৩ বছর পর গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৭ চট্টগ্রাম।

নিহত ভিকটিম মোঃ সবুর ও আসামী মোঃ শাহাবুদ্দিন চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা থানাধীন শোলাকাটা গ্রামের একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করত। গত ২১ মার্চ ১৯৯০ইং তারিখ সকাল আনুমানিক ০৯০০ ঘটিকায় তাদের মধ্যে ঝগড়ার এক পর্যায়ে শাহাবুদ্দিন সবুরকে পেরেকযুক্ত কাঠের লাঠি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করে। পরবর্তীতে গুরুতর আহত সবুরকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পর সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভিকটিম মৃত্যুবরণ করেন।

এ ঘটনার ভিকটিমের পিতা বাদী চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং ৬/০৩/৯০, জিআর ২৯/৯০, এসটি ১৫/০৫ (বর্তমান), ১৭/৯৩ (পূর্ব)। ঘটনার পর হতে আসামী আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়। দীর্ঘদিন পলাতক থাকায় আসামীর অনুপস্থিতিতে বিজ্ঞ আদালত গত ২৬ জুলাই ২০০৭ইং তারিখে আসামী মোঃ শাহাবুদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং ২০,০০০ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।

র‍্যাবব-৭, চট্টগ্রাম বর্ণিত হত্যা মামলার দীর্ঘ ৩৩ বছর ধরে পলাতক আসামী মোঃ শাহাবুদ্দিনকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরধারী এবং ছায়াতদন্ত অব্যাহত রাখে। নজরধারীর এক পর্যায়ে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, বর্ণিত মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোঃ শাহাবুদ্দিন চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন বিআরটিসি মোড় এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল গত ২৪ মে ২০২৩ ইং তারিখে বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ শাহাবুদ্দিন, পিতা- নুরুল ইসলাম, সাং-শৈলকাঠি, থানা- আনোয়ারা, জেলা- চট্টগ্রাম’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে বর্ণিত মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মর্মে স্বীকার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরো পড়ুন