• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:০১ পূর্বাহ্ন

চাচাকে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী ভাতিজা বশির গ্রেফতার

/ ১০৫ বার পঠিত
আপডেট: শনিবার, ২০ মে, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:-
নিহত ভিকটিম মকবুল হোসেন এবং আসামী বশির আহাম্মদ সম্পর্কে চাচা ভাতিজা হয়। দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগ-বন্টন নিয়ে পারিবারিক অশান্তি ও দ্বন্ধ চলে আসছিল। এক পর্যায়ে আসামী বশির আহাম্মদ তার চাচা নিহত ভিকটিম মকবুল হোসেনকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে। এরই জের ধরে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৯ ইং তারিখে আসামী বশির আহাম্মদ (৫৫) ও তার সহযোগী আসামীরা মকবুল হোসেন (২৫)’কে ছুরিকাঘাতে নৃশংসভাবে হত্যা করে।

পরবর্তীতে এ ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী বাদী হয়ে আসামী বশির আহাম্মদ এবং আরও ৭/৮ জনকে আসামী করে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং নং-৮(২)৮৯ তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৯ ধারা -৩০২/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০। উল্লেখ্য মামলা রুজুর পর হতে আসামী বশির আহাম্মদ আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়। বিজ্ঞ আদালত দীর্ঘ বিচার কার্যক্রম শেষে আসামীর অনুপস্থিতিতে গত ১৯ নভেম্বর ১৯৯২ইং তারিখে উক্ত হত্যা মামলায় প্রধান আসামী বশির আহাম্মদকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।

র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম বর্ণিত হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরধারী এবং ছায়াতদন্ত অব্যাহত রাখে। নজরধারীর এক পর্যায়ে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, বর্ণিত আসামী রাঙ্গামাটি জেলার রাঙ্গামাটি সদর থানাধীন মুসলিম পাড়া এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল অদ্য ১৯ মে ২০২৩ ইং তারিখ ০৩২০ ঘটিকায় বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামী বশির আহাম্মদ (৫৫), পিতা- নুর আহাম্মদ, সাং-চারিয়া, থানা- হাটহাজারী, জেলা- চট্টগ্রাম ’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে বর্ণিত মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মর্মে স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় সে আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে দীর্ঘ ৩৪ বছর যাবৎ চট্টগ্রাম ও রাঙ্গামাটি জেলা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে ছিল।

গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরো পড়ুন