• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২৭ অপরাহ্ন

যুদ্ধাপরাধী সাকার সন্তান হুম্মাম কাদের চৌধুরীর সাথে একান্ত বৈঠকে রাউজানের এমপি ফজলে করিম চৌধুরী ও তার ছেলের

/ ১৫৪ বার পঠিত
আপডেট: বুধবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:-
এবার যুদ্ধাপরাধী সাকার সন্তান হুম্মাম কাদের চৌধুরীর সাথে একান্ত বৈঠকে বসলেন রাউজানের সংসদ সদস্য ফজলে করিম চৌধুরী এমপি।

গত শনিবার (২২ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন যুদ্ধাপরাধী সাকার সন্তান বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য হাম্মাম কাদের চৌধুরী সাথে একান্তে প্রায় ২ ঘন্টা ব্যাপী গোপন বৈঠক করার অভিযোগ উঠেছে রাউজানের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে।

সূত্রে জানা যায়, পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন নামাজের পরে রাউজানের গহিরা বক্স আলী চৌধুরী বাড়ির ফজলে করিম চৌধুরীর বাসভবনে হুম্মাম কাদেরের সাথে দীর্ঘক্ষণ একান্তে গোপন বৈঠক করেন এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি। বৈঠকে ফজলে করিম চৌধুরীর সন্তান ফারাজ করিম চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন বলে সূত্রের জানা যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, রাউজানের গহিরা বক্স আলী চৌধুরী বাড়ির ফজলে করিম চৌধুরীর বাসভবনে হুম্মাম কাদেরের সাথে দীর্ঘক্ষণ একান্তে গোপন বৈঠক চলে এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি ও এমপি পুত্রের। প্রায় ২ ঘন্টা স্থায়ী বৈঠকের পর যুদ্ধাপরাধী সাকা পুত্র হুম্মাম কাদের চৌধুরীকে রাজশিক আপ্যায়নে দুপুরে খাবার ও পরিবেশন‌ করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরো জানান, ফজলে করিম চৌধুরী সেই বৈঠকে সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হুম্মাম কাদেরের নিকক ফাঁস করেন জানান। যদিও তথ্য ফাঁসের সঠিক কোন তথ্য কেউ দিতে পারেননি।

যুদ্ধাপরাধী সাকার সন্তান হুম্মাম কাদের চৌধুরীর সাথে একান্ত রাউজানের সংসদ সদস্য ফজলে করিম চৌধুরী এমপির বৈঠকের বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বয়ছে পুরো রাউজান জুড়ে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা অত্যন্ত ক্ষোভ ও আক্ষেপ নিয়ে বলেন, ফজলে করিম চৌধুরী এমপির বাসভবনে এখনও দীর্ঘদিনের আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতারা বিশেষ করে রাউজান আওয়ামীলীগের আজীবন সভাপতি শফিকুল ইসলাম চৌধুরীর সন্তান সাইফুল ইসলাম চৌধুরী রানা, মুসলিম উদ্দিন খান, দেবাশীষ পাল
ও যেতে পারেনা এমনি তারা রাউজানের পা রাখতে পারছেন না এমপি ও এমপি পুত্রের দাপটে সাখা কিভাবে ১৯৭১ সালের গণহত্যাকারী চিহ্নিত রাজাকার স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি সাকার সন্তান নিজের এলাকায় গিয়ে ঈদ উদযাপন করে ও রাউজানের এমপি, পুত্রের সাথে গোপনে বৈঠক করে তা জাতি জানতে চায়।

অনেকেই বৈঠকের বিষয়টি নিয়ে স্বাধীনতা স্বপক্ষের শক্তির দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, মূলত দীর্ঘদিন ধরে রাউজানের সাংসদ ফজলে করিম চৌধুরী সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হুম্মাম কাদেরের নিকট পাচার করেন পরবর্তীতে সাকাপুত্র হুম্মাম তা না বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধু কন্যার প্রতি করে বক্তব্য প্রদান করেন বলে অভিযোগ করেছেন।

এমতাবস্থায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী ফোরামের নিকট এ বিষয়ে সুষ্ট তদন্তের জোড় দাবি জানাচ্ছে রাউজানের আপামর জনসাধারণ।
না হলে রাউজানের গণ মানুষের হৃদয়ে ধারণ করা মুজিব আদর্শ অচিরেই বিলীন হয়ে যাবে।

অনেকেই আবার রাজাকার পুত্র সাথে রাউজানের এমপির এমন বৈঠকের পর তাদের হাতে আওয়ামী লীগের রাজনীতি কতটা নিরাপদ এমন প্রশ্নও করছেন সচেতন মহলের কাছে।

এদিকে রাউজানের সাংসদদের এমন কান্ডে হতবাক নেতাকর্মী ও রাউজানবাসি বলে জানান অনেকে।

অনেকে আবার যুদ্ধাপরাধী সাকাপুত্র হুম্মাম কাদের চৌধুরীর সাথে এমপি ফজলে করিমের গোপন বৈঠক নিয়ে রাউজানবাসী বিস্মিত ও আতঙ্কিত বলে অভিমত প্রকাশ করেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাউজানের প্রবীন সিনিয়র নেতা জানান, এটা কি করলেন রাউজানের ফজলে করিম চৌধুরী এমপি। তাদের প্রশ্ন তাহলে কি তিনি পুরানো আসল রূপে ফিরে গিয়েছেন ?একসময়ের রাজাকার সাকা চৌধুরীর ক্যাডার-কিলার জুনু পরিচয়ে।

অভিযোগ আছে একসময়ের সাকা চৌধুরীর
গাড়ীর চালক জুনু আজকের রাউজানের সংসদ সদস্য ফজলে করিম চৌধুরী। যিনি অনেক চড়াই-উতরাই পেরেয়ি আজ রাউজানের এমপি-র আসন নিয়ে বসে আছেন। যার নেপথ্যে লুকিয়ে আছে এক কালো ইতিহাস।

অভিযোগ আছে, সাকা চৌধুরীকে বলি দিয়ে ফুফাত ভাই সাবের হোসেন চৌধুরীর হাত ধরে এনডিপি থেকে আওয়ামিলীগ এর মুখোশ পড়েছিলেন, সে মুখোশ থেকে বেরিয়ে আবারো পুরাতন রূপে দেখা গেল রমজান মাসে সাকার সহধর্মিণীকে এভারকেয়ার ক্লিনিকে দেখতে যাওয়ার মাধ্যমে। শুধু তাই নয় গেল ঈদের দিন নিজ বাড়িতে ঈদের নামাজ শেষে সাকা পুত্র হুম্মাম চৌধুরীর সাথে কুলাকুলি করে এমপির বসত ঘরের খাস কামরায় একান্তে দীর্ঘ টানা ৪ (চার) ঘন্টা রূদ্ধদ্বার বৈঠক করে নেতাকর্মীকে থ করে দিয়েছেন এই এমপিও এমপি পুত্র

আরো অভিযোগ আছে, রাউজানের পুলিশ প্রশাসনকেও এই আলাপ চারিতায় কাছে ঘেষতে দেয়া হয়নি। সাধারণ মানুষকে এই অবাক করা কান্ডের কোন সদুত্তর দিতে পারছেনা আওয়ামিলীগের নেতাকর্মীরা। হঠাৎ করেই যুদ্ধপরাধী পরিবারের সাথে আবার গোপন সখ্যতা প্রকাশ্যে উঠে আসাকে রাউজানবাসি ভালো চোখে দেখছে না।

রাউজানের রাজাকার পরিবারের হাতে জিম্মি হওয়া বঙ্গবন্ধুর রক্তে রঞ্জিত আওয়ামী লীগ কোন পথে আগাচ্ছে তা আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে প্রশ্ন রাউজানবাসির।


আরো পড়ুন