• শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:১২ পূর্বাহ্ন

বর্ণাঢ্য আয়োজনে নববর্ষ বরণ করলো নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের
ত্রিশাল

/ ৭৬ বার পঠিত
আপডেট: শনিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:-
বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে উদযাপিত হয়েছে চৈত্র সংক্রান্তি ও বাংলা নববর্ষের প্রথমদিন পহেলা বৈশাখ-১৪৩০।
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়ধ্বনি মঞ্চ থেকে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমেই জাতীয় সঙ্গীত ও বৈশাখকে আহ্বান করে ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’ গান পরিবেশন করেন সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এরপর উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর।

উপাচার্য বলেন, পাকিস্তানিরা আমাদের বাংলা নববর্ষ পালনে বাঁধা তৈরি করেছিলেন। তারা বলেছিলেন আমাদের এই সংস্কৃতি পাকিস্তানের সংস্কৃতির সাথে চলবে না। কিন্তু বাঙালি তার সংস্কৃতিকে বর্জন করেনি। পাকিস্তানকে বর্জন করেছে। পরবর্তীকালে যতরকমের সামরিক স্বৈরাচার এসেছে তারাও বাঙালি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান সুস্পষ্ট করেছিলেন, বাঙালি কিন্তু তার সংস্কৃতিকেই রক্ষা করেছে। বাঙালি তার সংস্কৃতি সামনে নিয়ে এগিয়ে গেছে।

তিনি আরো বলেন, বাঙালি সংস্কৃতি রক্ষার জন্য আমরা সবসময় জাগরুক আছি, আমরা সবসময় একতাবদ্ধ আছি। সামনের বছর অত্যন্ত সুন্দর ভাবে যেন কাটে, দেশে গণতন্ত্র যেন সুরক্ষিত থাকে, দেশে যাতে উন্নয়নের ধারা আরও বেগবান হয়, বৈশ্বিক পরিস্থিতিকে পেছনে ফেলে আমরা যেন আমাদের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে পারি এটাই আমাদের প্রত্যয়।
এরপর জয়ধ্বনি মঞ্চ থেকে শুরু হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিশুসহ নানা বয়সের দর্শনার্থীদেরসহ শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বৈশাখী সাজে এই শোভাযাত্রায় সামনে-পেছনে বাদ্যের তালে তালে চলে নৃত্য, হাতে হাতে ছিল বাহারি মুখোশ। পুষ্পাকৃতির চরকি, টেপা পুতুল আর পাখির শিল্পকাঠামো শোভাযাত্রাকে দেয় বাঙালির চিরায়ত আবহ।

এর আগে গতকাল (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় চৈত্রসংক্রান্তি উপলক্ষ্যে জয়ধ্বনি মঞ্চের সামনে ফানুস উৎসব ও ফল পরিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর ফানুস উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন।


আরো পড়ুন