• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন

মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন সোসাইটির উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

/ ১২৭ বার পঠিত
আপডেট: রবিবার, ২৬ মার্চ, ২০২৩

মোহাম্মদ জুবাইর, নিজস্ব প্রতিবেদক:-
মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন সোসাইটির উদ্যোগে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা রোববার (২৬ মার্চ) বেলা ১১ টায় নগরীর বায়েজীদ লিংক রোডস্থ সংগঠনের কার্যালয়ের সম্মুখে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আহসান উদ্দিন খাঁনের সভাপতিত্বে এবং আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা হাসানুল আলম মিথুনের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন, সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা মো. আবদুল আউয়াল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা মো. জহিরুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হেফাজুতুল মাওলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবেদার আব্দুল হাই, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধার কণ্যা রাজিয়া খানম প্রিয়া, এডভোকেট এরশাদুল আজম, সাংবাদিক এস.এম.পিন্টু, আব্দুল মতিন চৌধুরী রিপন, মো. জাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, মো. মাহাবুবুর রহমান, সরোয়ার আলম চৌধুরী, মো. আফছারুন্নবী, বিধান চৌধুরী, নাছির উদ্দীন চৌধুরী রতন, ইসমাইল হোসেন, কাজী জাহাঙ্গীর আলম, মো. কালাম ও পলাশ দত্ত সহ পরিচালনা কমিটির সদস্যরা।

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সভাপতির বক্তব্যে মো. আহসান উদ্দিন খাঁন বলেন, একমাত্র বঙ্গবন্ধুর বিচক্ষণ নেতৃত্ব ও নিদের্শনায় আজ আমরা স্বাধীনতা আনতে পেরেছি। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে হয়তো আমরা আজো পাকিস্তনীদের গোলাম হয়ে থাকতাম। কিন্তু এদেশের কিছু বিপদগামী অতিলোভী ব্যক্তির লালসা বঙ্গবন্ধুকে বাঁচতে দেয়নি। জাতির জনককে হত্যার পর দীর্ঘ একুশ বছর বাঙালি জাতিসত্তাকে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। পুরো জাতিকে পাকিস্তানী ভাবধারায় পরিচালিত ও স্বাধীনতা বিরোধীদের পুনঃর্বাসিত করা হয়েছে এবং ইতিহাস বিকৃত করে নতুন প্রজন্মকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছিল। কিন্তু আজ বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা টানা ১৪ বছর ক্ষমতায় থেকে বাংলাদেশকে যে উচ্চতায় উন্নীত করেছেন তা অনেকের কাছে ঈর্ষনীয়, তাই নানাভাবে ষড়যন্ত্র চলছে। একুশ বছর ধরে ৭১ এর পরাজিত শক্তি বাঙালিকে জিম্মি করে রেখে তারা সাময়িক ইতিহাস বিকৃত করলেও, নতুন প্রজন্ম আজ সত্যিকার ইতিহাস জানতে পারছে। শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশ। ২০৩০ সালে বাংলাদেশকে সম্পূর্ণ দারিদ্র বিমোচন ও ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে ধাপে ধাপে প্রচেষ্টা চলমান রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, লাখো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সম্মিলিত চেষ্টার কোন বিকল্প নেই। তাই যার যার অবস্থান থেকে সংগঠিতভাবে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে তাঁর যে দিকনির্দেশনা তা মেনে চলার আহ্বান জানান।


আরো পড়ুন