• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫২ অপরাহ্ন

আদর্শিক ত্যাগীকর্মীদের মূল্যায়ন করলে ভবিষ্যৎ রাজনীতির পুরোনা ঐতিহ্য ফিরবেই

/ ১০৫ বার পঠিত
আপডেট: সোমবার, ১৩ মার্চ, ২০২৩

মোহাম্মদ জুবাইর, নিজস্ব প্রতিবেদক:-
বর্তমানে রাজনীতিতে এমন অবস্থা দাড়িয়েছে, সঠিক পরিচর্যা, ত্যাগী মেধার অবমুল্যায়ন ও আদর্শের অভাবে বর্তমানে নেতা সৃষ্টি হচ্ছে না। এ যেন এক হযবরল অবস্থা! যা ভাবতে আমার মতো কর্মীদের কষ্ট হচ্ছে। এখন কেউ কারো নই। সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যাস্ত, কারো কাছে কোন দায় দায়িত্ব আছে বলে আমার মনে হয় না। এখন ক্ষমতা আর টাকার কাছে সবাই জিন্মি। গুটিকয়েক যোগ্য লোক বিভিন্ন পদে আসলেও তারা বিভিন্ন অদৃশ্য শক্রির কাছে পরাজিত। এর পর হাতে গনা কয়েকজন মাঠ কাঁপানো নেতা পদবী ও ক্ষমতা পেয়ে কিছু করতে চাইলেও ব্যবসায়ী হাইব্রিড ও সিন্ডিকেট বলয়ের কারণে পেরে উঠতে পারছে না।


তবু তারা হলো আমার মত কর্মীদের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। এদের জন্য এখনো রাজনীতিতে সক্রিয় ত্যাগী কর্মীরা। একটা সময় রাজনীতি ছিল রাজানীতি। যাদের পরিবারের ঐতিহ্য সমাজের উচুমানের এবং মেধাবীরা রাজনীতি সাথে জড়িত ছিল এবং আবার অনেকের ছিল রাজনীতি নেশা। রাজনীতি করতে গিয়ে নিজের পকেটে টাকা খরচ করে মিটিং মিছিল করত। পরিবারের টাকা নিয়ে অনেকে রাজনীতি পেছনে ব্যয় করত, এমনকি রাজনীতি করতে গিয়ে অনেকে জমি বিক্রি করে সংগঠনের জন্য খরচ করেছেন সেরকম নেতাদের বর্তমানে পদ পদবী দুরে থাক তাদের খবর রাখে কি না সন্দেহ। তখন রাজনীতি ছিল রাজানীতি, আর বর্তমানে উল্টা।


সে সময় একজন রাজনীতি কর্মীকে শ্রদ্ধা আর সন্মান করত। সেই সময়ের নেতাদের ঘর ছিল সাধারণ মানুষের কেন্দ্র। তখন একজন জন্য আরেকজন বিপদের পড়লে এগিয়ে যেত। অন্যায়কারীদের কোন আশ্রয় প্রশ্রয় দিত না।
রাজনীতি কাছে নেশা ছিল আর এখন পেশা হিসেবে ব্যবহার করছেন অনেকে। যা দুঃখজনক এবং রাজনীতির জন্য ক্ষতিকরও বটে।


এক সময় ছাত্র রাজনীতি করতে গিয়ে অনেক মেধাবীরা সংগঠনের জন্য নিজের জীবন দিয়ে কাজ করে গেছেন, এমনি কি সংগঠনের অনেক কর্মী এবং নেতা প্রাণ দিয়েছেন। তাদের পরিবারের খবর বর্তমান নেতারা কি রাখছেন ?
এমনি কি তাদের কবরে কেউ কি শ্রদ্ধা করতে যাচ্ছেন?


আর যে দুঃসময়ের রাজনীতি জন্য রাজপথ ছিল নিজেকে দিন রাত ঘরছাড়া হয়ে সংগঠনের জন্য ত্যাগ করেছে তারা আজ কোথায় ? অথচ দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে হাইব্রিড এবং অযোগ্য তেলবাজি, টাকা, ক্ষমতা আর চামচামিদের দাপটে ত্যাগীরা হারিয়ে যাচ্ছে অভিমান করএ। যা আগামী ভবিষ্যৎ সংগঠনের জন্য ক্ষতিকর।
এইসব পিছনে একশ্রেণির নেতা দায়ী, যা অংস্বীকার করা সম্ভব না। এই সব চলতে থাকলে আগামী প্রজন্মের জন্য অশনিসংকেত, যা ক্ষতিকর ও অমানবিক।


রাজনীতি কি রাজনীতি জায়গা আসলে নেই ? রাজনীতি কি অরাজনৈতিক ব্যাক্তিদের নিকট চলে যাচ্ছে?
টাকা , চামচামি, ব্যাসায়ী তেলবাজ যে যত করতে পারবে সে ততবেশী বড় নেতা হওয়া যায়? আর যার যতবেশী টাকা থাকবে সেও এখন বড় নেতা হতে পারবে তার কোন রাজনীতি প্রয়োজন হবে না? বলতে গেলে অপরাজনীতি বর্তমানে এগিয়ে যাচ্ছে যা দুঃখজনক।


রাজনীতিবিদ প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা পার্লামেন্টিয়ান জননেতা তোফায়েল আহমেদ বলেন, রাজনীতি এখন রাজনীতিবিদের কাছে নেই। সত্যি কথা রাজনীতি বিপর্ষযের মুখে পতিত হচ্ছে। তার থেকে পরিত্রপরিত্রাণ পাওয়া জন্য সঠিক জায়গায় সঠিক নেতা বানাতে হবে। অরাজনীতি ব্যাক্তি দিয়ে রাজনীতি পরিচালিত হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস অনিবার্য। পরিশেষে বর্তমানে রাজনীতি অকাল থেকে মুক্তি পেতে চাইলে প্রতিটি জায়গায় মেধাবী ত্যাগী আদর্শিক ও দেশপ্রেমিক লোক সঠিক নেতা নিবার্চন করা জরুরি হয়ে পড়ছে। না হয় দল কর্মী শুন্য হয়ে পড়বে। না হয় ভবিষ্যতে চরম সংগঠন ক্ষক্ষতিগ্রস্ত হবে।

বিভিন্ন কমিটি ইউনিয়ন থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় পষর্ন্ত দলের নিবেদিত প্রাণ ও আদর্শিক তাগী কর্মীদেরকে বসিয়ে সুন্দর ভাবে সাজিনো হলে আবার রাজনীতি সেই পুরানো ইতিহাস ফিরিয়ে আসবে। জাতীয় জনক শেখ মুজিবুর রহমান , ভাসানী , শেরে বাংলা , সোহরাওয়ার্দী, ও জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমেদ, কামরুজ্জামান ও মনসুর আলী সহ এই রকম আরো অনেক নেতা আছেন তাদের আদর্শকে অনুসরণ করলে রাজনীতি আরো এগিয়ে যাবে এবং দেশ ও সমাজ এগিয়ে যাবে মনে করছি। আগামী তরুণ প্রজন্ম প্রিয় নেতাদের আদর্শকে অনুসরণ করে আবারও সুন্দর রাজনীতি ফিরিয়ে আসবে ইনশাআল্লাহ এবং সেই প্রত্যাশা করছি।ফয়সাল বাপ্পি সাবেক সহ সম্পাদক কেন্দ্রীয় নিবার্হী সংসদ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ( ২০১১—-২০১৫)


আরো পড়ুন