রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরের ১২ তলা আবাসিক ভবনের উদ্ধার কাজ শেষ হয়েছে। উদ্ধারকাজ শেষে ঢাকা নৌ-অঞ্চলের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আশিকুর রহমান বলেছেন, আমাদের অপারেশন শেষ করা হয়েছে, ভবনটি পুলিশ ও মালিকের হেফাজতে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গুলশানের আগুনের ঘটনায় এই কর্মকর্তা রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বলেন, একজন যিনি লাফ দিয়েছিলেন তিনি ছাড়া আর বাকি ২২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ভেতরে এখন পর্যন্ত আর কোনো আগুন নেই।
তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন আনুমানিক সন্ধ্যা ৭টার দিকে এখানে আগুন লাগে। আমরা সংবাদ পাওয়ার পরে ঢাকা নৌ-অঞ্চলে যে গাড়িগুলো আছে পানিসহ তিনটি টিম এখানে ছুটে আসে। তবে, উৎসুক জনতার জন্য আমাদের অপারেশন করতে একটু অসুবিধা হয়েছে।
এর আগে, আগুন লাগার বিষয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আরও আগে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারতাম। কিন্তু বাস্তব সত্য হচ্ছে আমরা আড়াই ঘণ্টা যাবত চেষ্টা করছি, আর সবাই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছি। বিপদের সময় আমাদের সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো উদ্ধার কাজে রাস্তাটা ছেড়ে দিতে হবে, আবেগ দিয়ে সবকিছু হয় না। ফায়ার ব্রিগেড তাদের প্রটোকল অনুযায়ী স্টেপ বাই স্টেপ কাজগুলো করছে।
তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সাত তলা থেকে ১২ তলা পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে সার্চ করে দেখেছে। দ্বিতীয়বার তারা আবারও দেখছে। ১-৪ বছরের শিশুসহ বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করেছে ফায়ার ব্রিগেডের কর্মীরা। টপ ফ্লোরে ১১ জন আটকে ছিল, তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে, আমরা চেষ্টা করছি।
জনসাধারণকে অনুরোধ করে মেয়র বলেন, আগুনটা আমরা আরও আগে নেভাতে পারতাম। আমাদের আহত আরও কম হতো। ৪০ জন ফায়ার ব্রিগেডের কর্মী ভেতরে উদ্ধার কাজ করছে। আমরা যে ভয় পেয়েছিলাম, সেই ভয়টা এখন আর নেই। এখন পর্যন্ত আমরা কিন্তু ভেতর থেকে কাউকে নামাতে পারিনি। সাত তলা থেকে ১২ তালা ছিল ভেরি ডেঞ্জারাস। যারা পাঁচ থেকে ছয়তলা ছিল তারা অনেকে নেমে গেছে। এরপরও প্রত্যেকটা ফ্লোরে গিয়ে চেক করা হবে। আমি এখানে আছি।