• বুধবার, ৩১ মে ২০২৩, ০২:৩৩ পূর্বাহ্ন

তৃতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হবে ‘জন্মভূমি’

/ ৯১ বার পঠিত
আপডেট: শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

‘সবার জন্য চলচ্চিত্র , সবার জন্য শিল্প সংস্কৃতি’ এ স্লোগানে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হয়েছে ‘তৃতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৩’। ১৫ দিনব্যাপী এ আয়োজন চলবে আগামী ৩ মার্চ পর্যন্ত।

এবারের চলচ্চিত্র উৎসবে পাঁচটি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে- সমকালীন চলচ্চিত্র, নারী নির্মাতাদের চলচ্চিত্র, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র, ধ্রুপদী চলচ্চিত্র এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বা পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের মধ্য থেকে সিলেকশন কমিটি কর্তৃক বাছাইকৃত মোট ৩৬টি চলচ্চিত্র প্রদর্শনী করা হচ্ছে।

উৎসবের দ্বিতীয় দিন (শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে শিল্পকলা‌ প্রাঙ্গনের চিত্রশালা মিলনায়তনসহ দেশের সকল জেলার শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে একযোগে প্রদর্শিত হবে বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়ার অন্যতম সেরা নিবেদন চলচ্চিত্র ‘জন্মভূমি’। বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার কুতুপালংয়ে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে নির্মিত সিনেমাটি ২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। এছাড়াও বেশ কিছু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সিনেমাটি প্রশংসিত হয়েছে।

সৈয়দ আশিক রহমানের প্রযোজনা ও প্রসূন রহমানের পরিচালনায় ‘জন্মভূমি’র বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রওনক হাসান, সায়রা আক্তার জাহান, সংগীতা চৌধুরী, অঙ্কন চাকমা, জয়নাল জ্যাক, পামেলা কেচার, নাসির উদ্দিনসহ অনেকে।

চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রসূন রহমান বলেন, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে মুক্তি পেয়েছিলো ‘জন্মভূমি’। ২০১৯ ও ২০২০ সালের প্যান্ডেমিকের আগ পর্যন্ত দেশের এবং অসংখ্য আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটি প্রদর্শিত হয়েছে। বিশেষ প্রদর্শনী হয়েছে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে।

তিনি আরও বলেন, নির্মাণের চার বছর পর এবার শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত উৎসবে বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় একসাথে প্রদর্শিত হবে ছবিটি, ব্যাপারটা নিঃসন্দেহে আনন্দের এবং অনুপ্রেরণার।

নির্মাতার ভাষ্য, বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়ার প্রযোজনায় নির্মিত এই ছবিটি নিয়ে আমাদের‌ যে জার্নি, তার সকল অভিজ্ঞতাই সুখের। কিন্তু ছবির যে বিষয়, যাদের নিগ্রহকালের গল্প বলা হয়েছে, যাদের মুক্তির আকাঙ্ক্ষা ও জন্মভূমিতে ফিরে যাওয়ার আকুতির কথা বলা হয়েছে, সে গল্পটা সত্য এবং দুঃখের। ক্রমশ সে গল্পের বাস্তব প্রেক্ষাপটটা আরও বেশি দুঃখের হয়ে উঠেছে। কারণ নিগৃহীত সেই জনগোষ্ঠীর আজ আবধি নিজ জন্মভূমিতে ফিরে যাওয়ার কোনো‌ ব্যাবস্থা হয়নি। কবে যেতে পারবে তাও‌ কারও জানা নেই।

তিনি যোগ করেন, ছবিটি নির্মাণকালে তাদের (রোহিঙ্গা) যে অবস্থা ছিল, এখনও‌ তাই আছে। ছবিটা দেখতে গেলে হয়তো আমাদের দর্শকরা সেই কঠিন সত্যটুকু আরও একবার উপলদ্ধি করতে পারবেন।


আরো পড়ুন