তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ অভিনন্দন জানানোর পর এক প্রতিক্রিয়ায় তাঁকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন বগুড়া-৪ আসনে সদ্য পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। তিনি বলেন, ‘তথ্যমন্ত্রী আমার বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন, আমার এত পরিশ্রম এবং জনগণের ভোট তিনি গ্রহণ করেছেন। এ জন্য তাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ’

নির্বাচন পরবর্তী জনগণের সঙ্গে দেখা করতে রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নন্দীগ্রাম উপজেলা সদরের স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডে যান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত হিরো আলম।

তাকে দেখেই মানুষের ভিড় জমে যায়।
গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কাহালু এবং নন্দীগ্রাম উপজেলার জনগণ জানে হিরো আলম বিপুল ভোটে পাস করেছে। আমি ভোটে ফেল করিনি, পাস করেছি। আমি জনগণের এমপি। ’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে হিরো আলম বলেন, ‘সংসদকে ছোট করার জন্য নাকি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। বিএনপি নাকি আমাকে ভোটে দাঁড় করে দিয়েছে। আমাকে যদি বিএনপি ভোটে দাঁড় করে দিয়ে থাকে, তাহলে বিএনপির নেতাকর্মীরা এ ভোটে আমার সঙ্গে ছিল না কেন? তারা ভোট করেছে! দেখেছেন? ওরা মিথ্যা অভিযোগ করছে। তাদের এসব কথায় বুঝা যায়, তারা ইচ্ছাকৃতভাবে নন্দীগ্রাম উপজেলায় আমার ভোটের ফলাফল কেড়ে নিয়েছে। ওবায়দুল কাদেরের মন্তব্যে প্রকাশ পেল, ইচ্ছে করেই তারা আমাকে সংসদে যেতে দিল না। ’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে স্যার বলতে তাদের লজ্জা লাগবে। জনগণের টাকায় সরকারি চাকরিজীবীরা বেতন পায়, তাহলে আমাদের (জনগণকে) স্যার বলবে না, কাকে স্যার বলবে?’

এই স্বতন্ত্র প্রার্থী বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, এই সরকার নাকি হিরো আলমের কাছে অসহায়। সরকার নয়, আমি হিরো আলম যে অসহায়, আমার এই বিচার কে করবে?’

হিরো আলম বলেন, ‘সত্যের জয় সবসময় হয়। পুনরায় ভোট গণনার আবেদন করেছি। প্রয়োজনে হাইকোর্টে যাব। তানসেন (মশাল) এবং আমার মধ্যে গণভোট চাই। দেখা যাবে কে বেশি ভোট পায়। ভোটে হারলে বা জিতলেই কি! আমি জনগণের পাশে আছি, থাকব।