• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৪ অপরাহ্ন

দেশের প্রথম উপজেলা হিসেবে ‘স্মার্ট শিবচরের’ কার্যক্রম উদ্বোধন

/ ২০৪ বার পঠিত
আপডেট: মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৩

দেশের প্রথম উপজেলা হিসেবে স্মার্ট শিবচরের কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। একই সময় জেলার শিবচরের প্রত্যেকটি ইউনিয়নে স্থাপিত ৮৮০টি সিসিটিভি ক্যামেরা উদ্বোধন করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে জেলার শিবচরের চৌধুরী ফাতেমা বেগম অডিটোরিয়ামে প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি স্মার্ট শিবচরের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, শাজাহান খান এমপি, কাজী নাবিল আহমেদ এমপি, বেগম নাহিদ ইজাহার খান এমপি, বেগম খাদিজাতুল আলম এমপি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরী, পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম। সভাপতিত্ব করেন মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড.রহিমা খাতুন। একই চত্ত্বরে অতিথিরা এফ.আর. খান উদ্যোক্তা সম্মেলন ও জব ফেয়ার অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশে যেতে আমাদের কিন্তু অনেক চ্যালেঞ্জ আছে।

মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আমাদের টেকনোলজিটা। আমাদেরকে ফাস্ট স্পীডি টেকনোলজি, আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স, মডার্ন কম্পিউটিং এর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। এই বিষয়গুলো যদি আমরা তারাতারি বাস্তবায়ন করতে না পারি তাহলে পেছনে পড়ে যাব। কিন্তু আজকে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অফ ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি ভিত্তি প্রস্থর স্থাপনের মাধ্যমেই আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পারব।

এদিকে মঙ্গলবার সকালে মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুরে ১৫শ কোটি টাকার শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অফ ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। প্রকল্পটি ৭০.৩৪ একর জমিতে জানুয়ারি ২০১৩ থেকে ডিসেম্বর ২০২৬ সাল পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের সফল বাস্তবায়নের পর জননেত্রী শেখ হাসিনা নতুন ভিশন দিয়েছেন ২০৪১ একটি জ্ঞানভিত্তিক, বুদ্ধিদিপ্ত, উদ্ভাবনী, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের। সেই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ৪টি স্তাম্ভ নির্বাচন করে দিয়েছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। সেটি হলো স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি। স্মার্ট সোসাইটি গড়ার জন্য যে স্মার্ট সিটিজেন গড়ার জন্য এই শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অফ ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি তৈরি করছি।

চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, এই প্রকল্পটির গুরত্ব অনেক বেশি। কারণ আগামী দিনের বাংলাদেশ ডিজিটালের পর এখন স্মার্ট বাংলাদেশ হবে। এই প্রকল্পটি শুধু আমাদের এলাকাই নয় দক্ষিণাঞ্চলসহ সারাদেশেই গুরত্ব বহন করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন আমাদের ভিশন দেখায় শুরুতে আমরা বুঝতে পারি না। যখন তিনি পদ্মা সেতুর কথা বলেছিলেন তখন অনেকেই এটা বিশ্বাস করে নাই এই নদীর উপর সেতু হতে পারে। আজ পদ্মা সেতু বাস্তবায়তায় এখন আমরা এটা ব্যবহার করে দক্ষিণাঞ্চলবাসী অর্থনৈতিক মুক্তি পেয়েছি।


আরো পড়ুন