• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১১:০৭ পূর্বাহ্ন

তুরাগে মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ

/ ১১৭ বার পঠিত
আপডেট: সোমবার, ২ জানুয়ারি, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রাজধানীর তুরাগে মারপিট ও লুটপাটের অভিযোগ এনে ষড়যন্ত্রমূলক একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে । তুরাগের ভাটুলিয়া এলাকার একাধিক বাসিন্দা ও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা এমন দাবি করেছেন । নিজেদের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে এই মামলা করা হয়েছে বলে ভুক্তভোগী পরিবারটি অভিযোগ করেন । জানা যায়, গত ২০/৩/২০২২ইং তারিখে

ঢাকার বিজ্ঞ মহানগর হাকিমের ১৩নং আদালতে ১৪৩, ৪৪৭, ৪৪৮, ৩২৭, ৩২৩, ৩০৭, ৩৭৯, ৩৮০, ৩৮৫, ৫০৬, ১০৯, ১১৪, ৩৪ ধারায় অভিযোগ এনে ৫১/২২- নং মিথ্যা মামলাটি দ্বায়ের করেন ভাটুলিয়া এলাকার শুক্কুর আলীর ছেলে আক্তার হোসেন (৩৩) । উক্ত মামলায় বিবাদী করা হয় একই এলাকার ব্যবসায়ী আলম চান (৫৫), তার পিতা হযরত আলী (৯২), ছেলে শহিদুল ইসলাম ( ২৬) সহ তাদের প্রতিবেশী ও কর্মচারীসহ মোট ১১জনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাত ১৫/২০ জনকে । মামলার বিবরনে উল্লেখ্য করা হয় বাদির নিকট বিবাদী দ্বয়রা দীর্ঘদিন ধরে ১০লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে আসছিল ।

কিন্তু বাদী চাঁদা না দেওয়ায় গত ১১/৩/২০২২ইং তারিখ বিকাল ৫টার দিকে উক্ত বিবাদী দ্বয়রা বাদির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গাড়ির গ্যারেজে পিস্তল, সাটার গান, রিভলবার, চাকু, চাইনিজ চাপাতি, বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয় অস্ত্র নিয়া প্রবেশ করিয়া তাদের চাঁদার ১০লাখ টাকা দাবী করেন । বাদী টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তারা তাকে মারপিট শুরু করেন । তাকে উদ্ধারে তার ভাই ইসাহাক, ইউসুফ ও কর্মচারী সুমন আগাইয়া আসিলে তাদেরকেও মারপিট করা হয় । পরে বাদীর ঢাকা মেট্রো গ ৩৯- ৫২৩৭ সিরিয়ালের প্রাইভেট কারটি ভাংচুর করিয়া গাড়িতে থাকা সাড়ে ৫লাখ টাকা নিয়ে নেয় এবং তাদের সাথে থাকা আরও প্রায় লক্ষাধিক টাকাসহ স্বর্ণের চেইন, মোবাইল ফোন ইত্যাদি নিয়ে নেয় ।

বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তুরাগ থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেন । পরে তুরাগ থানার উপ পরিদর্শক ( এস আই ) মোঃ মোহাইমিনুর রহমান মামলাটি তদন্ত করেন । কিন্তু পুলিশের এই কর্মকর্তা মামলার সঠিক তদন্ত না করে বাদী পক্ষের নিকট থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে তার মন গড়া ভাবে ২৪৩, ৪৪৭, ৪২৭, ৩২৩, ৫০৬ ধারায় ৫জনের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন বলে অভিযোগ করেন মামলার বিবাদীরা । পরে উক্ত মামলায় আদালত গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করলে পুলিশ মামলার এক বিবাদীকে গ্রেপ্তার করলে মামলার বিষয়টি জানতে পারেন উক্ত মামলার সকল বিবাদী দ্বয়রা । গ্রেপ্তারের আগে মামলার বিষয়টি কেউ জানেন না বলে দাবী করেন সকল বিবাদীগন ।

মামলার ১নং আসামী ভুক্তভোগী আলম চান জানান, শাহেব আলী মাদ্রাসার পাশেই তার মালিকানাধিন প্রায় দেড় বিঘা জমি রয়েছে । এর পাশেই রয়েছে সরকারী প্রায় ২ বিঘা জমি । আর সরকারী এই জমি কয়েকটি পরিবার ভোগ করতো । পরে সরকারী জমি ভোগকারী পরিবার গুলোর কাছ থেকে প্রায় ১৫ বছর পূর্বে টাকা দিয়ে তাদের দখল পজিশন কিনে নেন আলম চান । পরে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে তার নিজের জমি সহ উক্ত জমি ভরাট করে একটি গাড়ীর গ্যারেজ নির্মাণ করেন । এদিকে উক্ত মামলার বাদি পক্ষের প্রায় ৫ শতাংশ জমি রয়েছে এই গ্যারেজের পূর্ব পাশে তুরাগ নাদীর পাড় ঘেঁষে ।

উক্ত ৫ শতাংশ জমিও বাৎসরিক এক লাখ টাকায় ভাড়া দেন আলম চানকে । আর এই ভাবেই গ্যারেজটি নির্মাণ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন তিনি । কিন্তু বিগত বছর দুই ধরে উক্ত গ্যারেজটি দখল নিতে চেষ্টা চালিয়ে আসছিল মামলার বাদী আক্তার হোসেনসহ একটি মহল । পরে কোন ভাবেই দখল নিতে না পেরে তারা এই মিথ্যা মামলার আশ্রয় নিয়েছেন বলে দাবী করেন আলম চান । তিনি আরও জানান, মামলায় উল্লেখিত যে প্রাইভেট কারটি বাদীর নিজের বলে দাবী করেছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন । প্রকৃত পক্ষে বাদীর কোন প্রাইভেট কার নেই ।

এদিকে বাদী পক্ষ মামলায় উল্লেখ্য করেছে যে তাদের ৪০ শতাংশ জমি রয়েছে এই গ্যারেজে সেই বিষয়টিও মিথ্যা । যদি তারা এই গ্যারেজ এরিয়ার ভিতর তাদের ৪০ শতাংশ জমির বৈধ কোন কাগজ পত্র দেখাইতে পারে তাহলে আমি চিরদিনের জন্য গ্যারেজ ছেড়ে দিব । প্রকৃত পক্ষে মামলার বাদী ও সাক্ষীগণ এলাকার একটি কুচক্রী মহল । তারা থানার অসাধু কিছু পুলিশের সহায়তায় আমার নিজের গ্যারেজটি দখল নিতে ও আমাকে আর্থিক এবং সামাজিক ভাবে ক্ষতি সাধন করতেই কাল্পনিক একটি ঘটনা তৈরি করে উক্ত মিথ্যা মামলাটি দ্বায়ের করেছে । আমি এই মামলার সঠিক তদন্ত দাবী করছি । উপরোক্ত মামলার বিষয় যানতে তুরাগ থানার এস আই মোঃ মোহাইমিনুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মামলাটি অনেক আগের তাই এই মুহূর্তে তেমন কিছু বলতে পারছিনা । তবে সাক্ষ্য প্রমাণের উপর ভিত্তি করেই আমি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছি ।


আরো পড়ুন