• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১৩ অপরাহ্ন

প্রতিটি বিভাগে বিকেএসপি প্রতিষ্ঠা করা হবে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

/ ৯৪ বার পঠিত
আপডেট: শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের প্রতিটি বিভাগে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) প্রতিষ্ঠা করা হবে। প্রতিটি খেলার ক্রীড়াবিদকে যথাযথ প্রশিক্ষণ সুবিধা দেওয়ার জন্যই এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করা হবে।

তিনি বলেন, আমি আশা করি বাংলাদেশ ভবিষ্যতে ফুটবল বিশ্বকাপ খেলবে এবং তোমাদের (ফুটবলারদের) সেভাবে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বালক-১৭ এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বালিকা-১৭ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, উপজেলা, জেলা ও জাতীয় পর্যায় থেকে ১ লাখ ১০ হাজার ৫৫২ জন এই টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছে, এটি রীতিমত বিষ্ময়কর। আমার জানামতে এমন কোনো দেশ নেই যেখানে এক টুর্নামেন্টে এত ফুটবলার অংশ নিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিকেএসপি এই টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া ৮০ জন ছেলে-মেয়েকে প্রতিভা বিকাশের লক্ষ্যে তিনমাস প্রশিক্ষণ দেবে। তাদের মধ্যে থেকেই কয়েকজনকে প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশে পাঠানো হবে।

তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম ও প্রতিটি জেলায় একটি করে স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৫৬ জেলায় স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিটি বিভাগে প্রতিটি খেলার ক্রীড়াবিদকে যথাযথ প্রশিক্ষণের জন্য বিকেএসপি প্রতিষ্ঠা করা হবে। কারণ, আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের বিশ্বমানের ক্রীড়া মঞ্চে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সক্ষমতা রয়েছে। এছাড়া তৃণমূলে খেলাধুলা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে সারা দেশে সুইমিং পুল, শুটিং রেঞ্জ, কাবাডি ও ভলিবল স্টেডিয়াম এবং স্পোর্টস কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ক্রীড়া উন্নয়নে অনেক অবদান রেখেছেন। তিনি ১৯৭৪ সালে বিভিন্ন জেলায় ১৮টি ক্রীড়া ফেডারেশন ও ক্রীড়া পরিষদ প্রতিষ্ঠার অনুমতি দিয়েছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রংপুর বিভাগ ও খুলনা বিভাগের মধ্যকার মেয়েদের ফাইনাল ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের খেলা প্রত্যক্ষ করেন। এতে রংপুর বিভাগ চ্যাম্পিয়ন হয়।

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এছাড়া অন্যদের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেসবাহ ‍উদ্দিন।


আরো পড়ুন