• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৪১ অপরাহ্ন

সরকার সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করেছে : নজরুল

/ ৭৮ বার পঠিত
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২

সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, সরকার দলীয়করণের মাধ্যমে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস ও নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে। দুদক ও নির্বাচন কমিশনসহ সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে ফেলেছে।

তিনি বলেন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান মেরামতের কথা তো সংবিধানের প্রস্তাবনাতেই লেখা আছে। রাষ্ট্র মেরামতের লক্ষ্যেই বিএনপি ২৭ দফা রূপরেখা ঘোষণা করেছে। নাগরিকদের জন্য আইনের শাসন ও সুবিচার নিশ্চিত করতে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো মেরামতের বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এ নেতা।

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এক পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ বিষয়ক এ পর্যালোচনা সভার আয়োজন করে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিল বিএনপির মিডিয়া সেল।

নজরুল ইসলাম বলেন, আজকে সরকার জনগণকে ভোট দেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে না। অথচ তারা নাকি জনগণের ভোটে নির্বাচিত। তাহলে জনগণ ভোট দিল কোথায়? আগের রাতেই ভোটের বাক্স ভর্তি করা হয়েছে। যা সারাবিশ্বের লোকজন বলেছে। নির্বাচন কমিশনার নিজেও বলেছেন। ২০১৪ সালে তো ভোটকেন্দ্রে ভোটার খুঁজে পাওয়া যায়নি।

তিনি আরও বলেন, আজকে যে গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করেছি সেই গণতন্ত্রের অবস্থা কী? গণতন্ত্রের প্রধান বাহন হলো নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে বাংলাদেশে প্রহসনে পরিণত করা হয়েছে। বিরোধীদলের প্রার্থীকে ভোট করতে দেওয়া হয় না। প্রচারণা চালাতে দেয়া হয় না। ভোট ব্যবস্থা ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে।

নজরুল ইসলাম বলেন, বিরোধীদলগুলো আজ সভা-সমাবেশ করতে পারে না। একটি প্রধান বিরোধীদলের মহাসচিব, স্থায়ী কমিটির সদস্য কারাগারে বন্দি। কোথায় আজকে ন্যায়বিচার? চারবার আবেদনের পরও জামিন নামঞ্জুর করা হয়। সরকার বলছে তারা সমাজতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করবে। এটা কি তারা করেছে? মুক্তবাজার অর্থনীতির মাধ্যমে কি শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব? রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকবে আবার বলা হবে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র করবেন? এসব কি একসঙ্গে যায়?

ড্যাব সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ডা. মেহেদী হাসান ও দপ্তর সম্পাদক ডা. মো. ফখরুজ্জামান ফখরুলের পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, ইসমাইল জবিউল্লাহ ও বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন প্রমুখ।


আরো পড়ুন