• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:০১ পূর্বাহ্ন

কাদেরের হ্যাটট্রিক নাকি নতুন সাধারণ সম্পাদক পাবে আ.লীগ

/ ৮১ বার পঠিত
আপডেট: শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২২

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন। রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ১৯৮১ সাল থেকে আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। এখনও তার বিকল্প তৈরি হয়নি বলে মনে করেন দলটির নেতাকর্মীরা। তাই নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, আবারও সভাপতির দায়িত্বে থাকছেন তিনি। তবে সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে নানা ধরনের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। সবার চোখ এখন দলটির এই দ্বিতীয় শীর্ষ পদের দিকেই।

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন। রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ১৯৮১ সাল থেকে আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। এখনও তার বিকল্প তৈরি হয়নি বলে মনে করেন দলটির নেতাকর্মীরা। তাই নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, আবারও সভাপতির দায়িত্বে থাকছেন তিনি। তবে সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে নানা ধরনের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। সবার চোখ এখন দলটির এই দ্বিতীয় শীর্ষ পদের দিকেই।

এসময় এবারের যে সম্মেলন যে কমিটি হবে সেটিতে বড় পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা কম বলেও জানান এই রাজনীতিবিদ। তিনি বলেন, প্রয়োজনে পরবর্তী সম্মেলন নির্বাচনের পর আগামও করতে পারি। তখন একটা বড় ধরনের পরিবর্তন হয়তো হবে। আপাতত আমরা বড় ধরনের কোনো পরিবর্তনের ব্যাপারে ভাবছি না।

তবে সম্মেলনের আগেরদিন শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমার জানা মতে অন্তত ১০ জন প্রার্থী (সাধারণ সম্পাদক পদে) আছে। কাজেই কে হবেন- সেটা নেত্রীর ইচ্ছা। তা ছাড়া অধিবেশনে কাউন্সিলরদের মতামতের ওপরও এর প্রতিফলন ঘটবে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের দলে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগের প্রতিটি কর্মী-সমর্থক চায় শেখ হাসিনা যতদিন বেঁচে আছেন, ততদিন দলকে নেতৃত্ব দেবেন। কেবল দলই না, রাষ্ট্র পরিচালনায়ও তার বিকল্প আজ বাংলাদেশে নেই।

স্বাধীনতাবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক শক্তিকে মোকাবিলায় আওয়ামী লীগের আসন্ন সম্মেলনে দিকনির্দেশনা থাকবে বলেও জানান তিনি। হাছান মাহমুদ বলেন, একইসঙ্গে আগামী নির্বাচনে আবারও ভূমিধস বিজয় ছিনিয়ে আনতে আমাদের দলকে আরও শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়ে সুসংগঠিত করা হবে।

আওয়ামী লীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা গণমাধ্যমকে জানান, দলের একটা অংশ চায় ওবায়দুল কাদেরই সাধারণ সম্পাদক থাকুক। তিনি না হলে, হাছান মাহমুদকে এই পদে দেখতে চায় তারা। তথ্যমন্ত্রী হিসেবে গণমাধ্যমে নিয়মিত উপস্থিতি এবং বিরোধী দলের সব আন্দোলনকেই নানাভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারায় তিনি সাধারণ সম্পাদক পদের অন্যতম দাবিদার- এমনটা মনে করেন তার অনুসারীরা।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের এক নেতা বলেন, কাউন্সিলের প্রতিনিধিরা নেতা নির্বাচনের দায়িত্ব দলের সভাপতি শেখ হাসিনাকেই দিয়ে থাকেন। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, বিরোধী দলগুলোর আন্দোলন- সবকিছু মিলিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি। এখন পর্যন্ত যেটা বোঝা যাচ্ছে, ওবায়দুল কাদেরই পুনরায় সাধারণ সম্পাদক পদে থাকছেন।


আরো পড়ুন