• বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২৫ পূর্বাহ্ন

বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা (সিপিডি)

/ ৮৪ বার পঠিত
আপডেট: শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২২

বাংলাদেশে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সংস্থাটির মতে, এই খাতে ভর্তুকি হিসাবে ৫৬ হাজার ৮৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের উত্থাপিত এমন প্রস্তাবের পরও, বিদ্যুতের শুল্ক বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা কেন দেখা দিল।

বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সিপিডি অফিসে ‘খসড়া সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা (আইইপিএমপি): পরিচ্ছন্ন জ্বালানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবে কি?’ শীর্ষক ব্রিফিং-এর আয়োজন করা হয়।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি না, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এত বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি চাওয়ার সময়, কেন খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে চায়। ড. মোয়াজ্জেম জানান মোট প্রস্তাবিত অর্থের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (পিডিবি)-এর কাছে ৩২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, পেট্রোলিয়াম আমদানির জন্য বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)-এর কাছে ১৯ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা এবং পেট্রোবাংলার কাছে এলএনজি আমদানির জন্য ৫ হাজার কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে ভর্তুকি কমানোর প্রস্তাবে আমরা একমত নই।

তিনি আরও বলেন, সরকারের উচিত বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ কমাতে, বেশি ভাড়া এবং কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ করতে একটি পরিকল্পনা নেওয়া। সিপিডি গবেষণা পরিচালক বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিপিসি এখন, জ্বালানির দাম বৃদ্ধির পর, পেট্রোলিয়াম ব্যবসায় লোকসানের পরিবর্তে প্রচুর মুনাফা করছে। কারণ বিশ্বব্যাপী জ্বালানির দাম ক্রমেই নিম্নমুখী হচ্ছে। তিনি দাবি করেন যে বিপিসি এখন প্রতি লিটার ডিজেল বিক্রি করে ৩০ টাকার বেশি লাভ করছে।

ব্রিফিং-এ আরও বক্তব্য দেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।


আরো পড়ুন