• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২৫ পূর্বাহ্ন

স্বরুপকাঠীতে সমবায় লাইসেন্স বিহীন সমিতি করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ!!

/ ৩৩৬ বার পঠিত
আপডেট: রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৯

স্বরুপকাঠী প্রতিনিধিঃ পিরোজপুর নেছারাবাদ স্বরুপকাঠীর উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়নের ব্যাঙের ছাঁতার মতো গঁজিয়ে উঠেছে সমবায় লাইসেন্স বিহীন সঞ্চয় সমিতি। উপজেলা সমবায় অফিস থেকে লাইসেন্স বিহীন না থাকার কারনে রাতারাতি আঙ্গুলফুলে কলাগাছ হচ্ছে, এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোহাগদলে লাইসেন্স বিহীন ছাড়া সমিতি, ২নং সোহাগদল ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে আলকিরহাটে মোঃ মনিরুজ্জামান বিরুদ্ধে তার বাড়ির ভিতর রাতের অন্ধকারের মত তুলেছেন লাইসেন্স বিহীন সমিতি। এইগুলো পুরো ইউনিয়নেে জুড়ে সুদের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।মনিরুজ্জামান তার সুদের হার বেশি বলে জানান গ্রহীতারা। কখনো সাপ্তাহিক ও মাসিক কিস্তি নিয়ে থাকে।

এসব সমিতির মনগড়া উচ্চহারের সুদের যাতাকলে পিষ্ট হয়ে সর্বশান্ত হচ্ছেন গ্রহীতারা। উপজেলা ইউনিয়নে সমিতিগুলোসহ ৯নং ইউনিয়নে সোহাগদল নাম না জানা অনেকগুলো , সঞ্চয় ও ঋনদান সমবায় সমিতি রয়েছে। সমিতির সদস্যদের কাছ থেকে সঞ্চয় রাখা ও ১৬ পার্সেন্ট হারে সুদ নিয়ে ক্ষুদ্রঋন দেওয়ার বিধান থাকলেও তা অমান্য করে বড় ঋন দেওয়া সহ চক্রবৃদ্ধি হারে নেওয়া সুদ শেষ পর্যন্ত ৪৫ পার্সেন্টে গিয়ে দাঁড়ায় বলে অভিযোগ রয়েছে।কর্তৃপক্ষের যথাযথ মনিটরিং না থাকায় কারনে খেয়ালখুশি মতো সুদ আদায় করে দারিদ্র জয়ের পরিবর্তে দরিদ্র সদস্যদের আরও পথে নামিয়ে হতদরিদ্র বানিয়ে দিচ্ছে লাইসেন্স বিহীন সমিতিগুলো।যথাসময়ে কিস্তি পরিশোধ করতে না পারলে অনেক সময় বেশি হারে অর্থ দিতে হয় গ্রহীতাদের।

সমাজকল্যাণ নামে রাতে আধারে চলছে সেবামূলক নামে ও কাজের নামে মনগড়া সমিতি গড়ে উঠে ৯নং সোহাগদলে সমবায় লাইসেন্স ছাড়া সমিতিগুলো মূলত সুদের ব্যবসা চালিয়ে নিজেরা আঙ্গুল ফুলে কলা বনে যাচ্ছেন। ওই এলাকার লোকজন,নাম না প্রকাশের বলেন, আমাদের এলাকায় সুদের ছড়াছড়ি হয়ে আসছে। তাই এই সুদের কারনে পরিবারে অশান্তি কোন শেষ নেই। আর সুদ দিতে গিয়ে সর্বশান্ত হয়ে রোগে শোকে ধুকে ধুকে দিনাতিপাত করছেন ঋনগ্রহীতারা। এদিকে অর্থের বিনিময়ে ঋনদান সমিতির রেজিষ্ট্রেশন দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে।

স্বরূপকাঠী সহ অন্য উপজেলা সমবায় অফিস থেকে লাইসেন্স নিয়ে কেউ লাখপতি আর গ্রহীতারা সর্বশেষ। কিছু অসাধুরা ব্যবসায়ীরা সদস্যদের কয়েক কোটি টাকা লোপাট করে গাঢাকা দিয়েছে। ফলে শত শত সদস্য তাদের কষ্টার্জিত সঞ্চয়ের অর্থ ফিরে পেতে প্রশাসন ও সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন এমন অভিযোগ হাজারো আছে। তবে কোন কর্মকর্তারা প্রদেক্ষেপ নেয় নি বলে জানান।

এ সমিতিগুলোর বিরুদ্ধে উচ্চহারে সুদ নেওয়ার অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে জানান পর্যাপ্ত জনবল না থাকা ও বেশিরভাগ সমিতি উপজেলার সহ ইউনিয়নে দূর্গম প্রত্যন্ত এলাকায় হওয়ায় যথাযথ মনিটরিং করা সম্ভভ হচ্ছেনা বলে সুদের চাহিদা বেড়ে চলছে। তবে লিখিত অভিযোগ অথচ কর্মকর্তারা কোন তদন্ত ব্যবস্থা গ্রহণ না থাকার কারনে চরম বিপদে পড়ছেন এলাকার জনগন।এই সব সমিতিগুলো সমবায় লাইসেন্স না থাকার কারনে সরকার হারাছে লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব।


আরো পড়ুন