• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:৫০ পূর্বাহ্ন

ফারদিনের মৃত্যুর কারণ জানতে ডিবিতে শিক্ষার্থীরা

/ ৭৯ বার পঠিত
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২২

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ আত্মহত্যা করেছে, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) এ দাবি মানতে নারাজ বুয়েট শিক্ষার্থীরা। তাই ফারদিনের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে মিন্টু রোডে ডিবি কার্যালয়ে গেছেন শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ২০ মিনিটের দিকে ১০-১২ জন শিক্ষার্থীর একটি দল ডিবি কার্যালয়ে যান।

শিক্ষার্থীরা জানান, ফারদিন আত্মহত্যা করেছে বলে জানান ডিবি, যা তারা বিশ্বাস করতে ও মানতে পারছে না। ফারদিন যে আত্মহত্যা করেছে এ সংক্রান্ত তথ্যপ্রমাণ ও তদন্ত সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো দেখাতে তাদের ডেকেছে ডিবি।

এর আগে বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশ (২৪) হতাশা ও টাকার সংকটে পড়ে নদীতে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

ফারদিন অন্তর্মুখী ছিলেন। এ কারণে তিনি সবার সঙ্গে সবকিছু শেয়ার করতেন না।

ফারদিনের হতাশার কারণ তুলে ধরে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, তার পরীক্ষার ফলাফল ক্রমশ খারাপ হচ্ছিল। তার সিজিপিএ ৩ দশমিক ১৫ থেকে কমে ২ দশমিক ৬৭ হয়। এটি তার পরিবার বা স্বজনদের কেউ জানতেন না। এ ছাড়া বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে স্পেন যাওয়ার জন্য তার ৬০ হাজার টাকা দরকার পড়ে। কিন্তু তাকে ৪০ হাজার টাকা জোগাড় করে দেন বন্ধুরা। সবমিলিয়ে মানসিক চাপে পড়েই সে আত্মহত্যা করেছে।

ডিবি প্রধান বলেন, টিউশনি করে নিজের ও ছোট দুই ভাইয়ের পড়ার খরচ চালালেও তাকে বাড়ি ফেরার চাপ দেওয় হতো, যা তিনি মানতে পারেননি।

ডিবি কর্মকর্তা আরও বলেন, মৃত্যুর সেই রাতে ফারদিন নারায়ণগঞ্জের চনপাড়ায় যাননি। সর্বশেষ তিনি যাত্রাবাড়ীতে ছিলেন বলে দেখা গেছে। সারা রাত এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করেছেন তিনি।ভিসেরা রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে মাথায় আঘাতের কথা বলা হলেও তা খুবই সামান্য। এতে মৃত্যু নয়, সর্বোচ্চ অজ্ঞান হতে পারে। পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি এবং তার কাপড়েও কোনো ছেঁড়া পাওয়া যায়নি।


আরো পড়ুন