• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৪ অপরাহ্ন

ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হলো কৃষকের লাশ

/ ৯৭ বার পঠিত
আপডেট: মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২

গাইবান্ধায় মৃত্যুর প্রায় দুইমাস পর আদালতের নির্দেশে চান্দু মিয়া (৬৫) নামে এক কৃষকের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে সদর উপজেলার কুপতলা ইউনিয়নের ফকিরপাড়া গ্রাম থেকে এ লাশ উত্তোলন করা হয়।

চান্দু মিয়া ওই গ্রামের মৃত মধু মিয়ার ছেলে।

গাইবান্ধা সদর থানার উপপরিদর্শক আবদুর রহমান জানান, আদালতের নির্দেশে কবর থেকে লাশটি উত্তোলন করা হয়। এটি ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে। প্রতিবেদন পাবার পর মৃত্যুর রহস্য জানা যাবে।

পুলিশ ও মামলার বিবরণে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ফকিরপাড়া গ্রামের মতিন মিয়া ও তার লোকজনের সঙ্গে একই গ্রামের চান্দু মিয়ার জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে আদালতে উভয় পক্ষের মধ্যে একাধিক মামলাও চলমান রয়েছে। চলতি বছরের ১৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় চান্দু মিয়া বাড়ি থেকে পাশ্ববর্তী বালাআটা বাজারে যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে স্থানীয়রা বাড়ির অদুরে চান্দু মিয়াকে মাটিতে পড়ে থাকা অবস্থায় দেখতে পায়। পরে তারা তাকে উদ্ধার করে বালাআটা বাজারে নিয়ে যায়। বাজারের স্থানীয় চিকিৎসক চান্দু মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। পরেরদিন সকালে চান্দু মিয়ার লাশ দাফন করা হয়।

চান্দু মিয়ার মৃত্যুর ঘটনাটি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তার স্ত্রী শোভা বেগম বাদী হয়ে ২৮ অক্টোবর সদর থানায় মামলা করতে যান। কিন্তু পুলিশ মামলা না নিয়ে আদালতে মামলার করার পরামর্শ দেয়। পরদিন চান্দু মিয়াকে আঘাত ও শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ এনে তার স্ত্রী আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় মতিন মিয়াসহ ৭ জনকে আসামি দেখানো হয়। এ মামলায় গাইবান্ধার অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত গত ১১ ডিসেম্বর চান্দু মিয়ার লাশ কবর থেকে উত্তোলনের নির্দেশ দেন। প্রায় দুইমাস পর আদালতের নির্দেশে তার লাশ মঙ্গলবার দুপুরে কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।

মামলার বাদী শোভা বেগমের অভিযোগ করে বলেন, জমি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে মামলা চলছে। এ শত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামীকে আসামিরা শ্বাসরোধে হত্যা করে। হত্যার পর সাধারণ মৃত্যু হিসেবে প্রকাশ করে তারা। কিছু বোঝার আগেই আসামিরা তাকে দাফন করে। আমি এই হত্যার বিচার চাই। এদিকে মামলা দায়েরের পর থেকে আসামিরা পলাতক।

প্রধান আসামি মতিন মিয়ার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।


আরো পড়ুন