• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩০ অপরাহ্ন

বানারীপাড়ায় ব্যাঙের ছাতার মতো সুদের ব্যবসা গঁজিয়ে ওঠেছে দেখার কেউ নেই!!

/ ২৭৮ বার পঠিত
আপডেট: বুধবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৯

সুমন খান বানারীপাড়া প্রতিনিধি:: বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলায় ব্যাঙের ছাঁতার মতো গঁজিয়ে উঠেছে সঞ্চয় ও ঋনদান সমবায় সমিতি। উপজেলা সমবায় অফিস থেকে রেজিষ্ট্রেশন নিয়ে সমিতিগুলো পুরো উপজেলা জুড়ে সুদের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

এসব সমিতির মনগড়া উচ্চহারের সুদের যাতাকলে পিষ্ট হয়ে সর্বশান্ত হচ্ছেন ঋন গ্রহীতারা। উপজেলা সমবায় অফিস সূত্রে জানা গেছে বানারীপাড়ায় পৌর শহর সহ ৮ ইউনিয়নে ১৭৯টি সঞ্চয় ও ঋনদান সমবায় সমিতি রয়েছে। সমিতির সদস্যদের কাছ থেকে সঞ্চয় রাখা ও ১১ পার্সেন্ট হারে সুদ নিয়ে ক্ষুদ্রঋন দেওয়ার বিধান থাকলেও তা অমান্য করে বড় ঋন দেওয়া সহ চক্রবৃদ্ধি হারে নেওয়া সুদ শেষ পর্যন্ত ৪৫ পার্সেন্টে গিয়ে দাঁড়ায় বলে অভিযোগ রয়েছে।কর্তৃপক্ষের যথাযথ মনিটরিং না থাকায় খেয়ালখুশি মতো সুদ আদায় করে দারিদ্র জয়ের পরিবর্তে দরিদ্র সদস্যদের আরও পথে নামিয়ে হতদরিদ্র বানিয়ে দিচ্ছে সমিতিগুলো।যথাসময়ে কিস্তি পরিশোধ করতে না পারলে অনেক সময় কারাবাসও করতে হয় ঋন গ্রহীতাদের্।

সমাজকল্যাণ ও সেবামূলক কাজের কথা বলে রেজিষ্ট্রেশন নিয়ে সমিতিগুলো মূলত সুদের ব্যবসা চালিয়ে নিজেরা আঙ্গুল ফুলে কলা বনে যাচ্ছেন। আর সুদ দিতে গিয়ে সর্বশান্ত হয়ে রোগে শোকে ধুকে ধুকে দিনাতিপাত করছেন ঋনগ্রহীতারা। এদিকে অর্থের বিনিময়ে ঋনদান সমিতির রেজিষ্ট্রেশন দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে।

স্বরূপকাঠি সহ অন্য উপজেলা সমবায় অফিস থেকে রেজিষ্ট্রেশন নিয়ে বানারীপাড়া উপজেলায় সঞ্চয় ও ঋনদান সমিতির কার্যক্রম পরিচালনারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপরদিকে সম্প্রতি বানারীপাড়া বন্দর বাজারের প্রত্যাশা বহুমূখী সঞ্চয় ও ঋনদান সমিতি,বনিক সমিতি ও বাইজস সহ বেশকয়েকটি সঞ্চয় ও ঋনদান সমিতি সদস্যদের কয়েক কোটি টাকা লোপাট করে গাঢাকা দিয়েছে। ফলে শত শত সদস্য তাদের কষ্টার্জিত সঞ্চয়ের অর্থ ফিরে পেতে প্রশাসন ও সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আফসানা শাখী সমিতিগুলোর বিরুদ্ধে উচ্চহারে সুদ নেওয়ার অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে জানান পর্যাপ্ত জনবল না থাকা ও বেশিরভাগ সমিতি উপজেলার দূর্গম প্রত্যন্ত এলাকায় হওয়ায় যথাযথ মনিটরিং করা সম্ভভপর হচ্ছেনা। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান।


আরো পড়ুন