• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:৪৮ অপরাহ্ন

প্রজেক্টর না দেওয়ায় শিক্ষককে মারধর

/ ৭৩ বার পঠিত
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২২

নওগাঁর ধামইরহাটে বিদ্যালয়ের প্রজেক্টর না দেওয়ায় একজন সহকারী শিক্ষককে মারধর করেছে আনোয়ার হোসেন নামে এক যুবক। বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে প্রধান শিক্ষককে না পেয়ে ওই নারী শিক্ষককে মারপিট করার পর বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র ও গ্লাস ভাঙচুর করা হয়।

এদিকে প্রধান শিক্ষক ও ওই নারী শিক্ষক বাদী হয়ে থানায় দুটি পৃথক অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার খড়মপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খেলুন সরদারের কাছে বুধবার দুপুরে বিদ্যালয় চলাকালে খড়মপুর গ্রামের মৃত মোজাফ্ফর রহমানের ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন (৪০) বিদ্যালয়ের প্রজেক্টর চায়। সরকারি সম্পদ প্রধান শিক্ষক দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে আনোয়ার হোসেন অজ্ঞাতনামা আরও ৩-৪ জনকে সঙ্গে নিয়ে বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে খুঁজতে থাকে। প্রধান শিক্ষককে না পেয়ে আনোয়ার হোসেন বিদ্যালয়ের চেয়ার, টেবিলের গ্লাসসহ বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র ভাঙচুর করতে থাকে।


এ সময় সহকারী শিক্ষক মোসা. মারুফা ইয়াসমিন (৩৫) ও দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী মো. ইবাদত হোসেন ভাঙচুরের প্রতিবাদ এবং এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে এগিয়ে আসেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আনোয়ার হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জন মিলে শিক্ষক মারুফা ইয়াসমিনকে মাটিতে ফেলে মারপিট করে। একপর্যায়ে তারা ওই শিক্ষকের গলা দুই হাত দিয়ে চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালায়। এ সময় ওই শিক্ষকের চিৎকার শুনে বিদ্যালয়ের অপরাপর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।

অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন মারপিটের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, পারিবারিক বিষয় নিয়ে শিক্ষক মারুফা ইয়াসমিনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছে। কোনো মারপিটের ঘটনা ঘটেনি।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আজমল হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও আহত সহকারী শিক্ষক থানায় অভিযোগ করেছেন। অন্যায়ভাবে শিক্ষককে মারপিট করার অপরাধে অবশ্যই দোষীদের শাস্তির দাবি জানাই।

ধামইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, থানায় অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো পড়ুন