তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমাদের কৃষ্টি-সংস্কৃতি-ঐতিহ্যগুলো নতুন প্রজন্মের জানা প্রয়োজন এবং সে জন্যই ঢাকায় জব্বারের বলীখেলা আয়োজন করা হয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরে শারীরিক শিক্ষা কলেজ প্রাঙ্গণে চট্টগ্রাম সমিতি, ঢাকার বার্ষিক মেলা ও মেজবানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে সেখানে বলীখেলার উদ্বোধনী বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম সমিতি, ঢাকার সভাপতি জয়নুল আবেদীন জামালের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন হিরোর সঞ্চালনায় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস, পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
এ দিন সকালে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেলের ভৌতকর্ম সমাপনী অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় উপস্থিত ছিলেন হাছান মাহমুদ। দুপুরে বিমানযোগে ঢাকায় ফিরে নিজ জেলার সমিতির অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।

চট্টগ্রাম–৭ আসনের সংসদ সদস্য হাছান মাহমুদ বলেন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনকে জোরদার করতে আব্দুল জব্বার সওদাগর চট্টগ্রামে বলীখেলা চালু করেন। তখন থেকে জব্বারের এই বলীখেলা চট্টগ্রামের ইতিহাসের অংশ হিসেবে প্রসিদ্ধ।

মন্ত্রী এ সময় তার গত বছরের অনুরোধে এবার মেজবানের পাশাপাশি বলীখেলা আয়োজনের জন্য সমিতিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তারা এর মাধ্যমে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যকে ঢাকায় আরও পরিচিত করেছেন। তিনি চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত বলীদেরও ধন্যবাদ জানান এবং বাল্যকালে বলীখেলা ও গরুর লড়াই দেখার স্মৃতিচারণা করেন। ‘মেজবানের মতো বলীখেলাও চট্টগ্রামের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির অংশ’ উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ভবিষ্যতে বড় জায়গা পেলে গরুর লড়াইও আয়োজন করা হবে।চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সন্তান হাছান মাহমুদ বক্তৃতায় চাটগাঁর ভাষায় তার মেজবানপ্রীতি তুলে ধরে বলেন, ‘আই সারা বছর মেজবানের লাই অপেক্ষা করি। আইজ তেমন কিছু ন খাই। চাটগাঁয় বঙ্গবন্ধু টানেলের ভৌতকর্ম সমাপ্তিতে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠান শেষের নাশতাও ন খাই এই মেজবানের লাই।’

পরে মন্ত্রী বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। খেলায় চট্টগ্রামের চকোরিয়ার জীবন বলী চ্যাম্পিয়ন হন। মেজবান ও মেলা উপলক্ষে অনুষ্ঠানস্থলে দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।