• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০০ পূর্বাহ্ন

লড়াই করেও শেষের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড সেনেগাল

/ ৯০ বার পঠিত
আপডেট: মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর, ২০২২

ম্যাচে সাদিও মানের অভাবটা বেশ ভালোভাবেই টের পেয়েছে সেনেগাল। নেদারল্যন্ডসের ডি-বক্সে বার বার বল নিয়ে গিয়েও ফিনিশিংয়ের অভাবে জালের দেখা পায়নি তারা। অন্যদিকে নেদারল্যান্ডসও ফিনিশিংয়ের অভাবে ভুগছিল। ফলে এক সময় মনে হচ্ছিল নিশ্চিত ড্রয়ের দিকেই যাচ্ছে ম্যাচটি। তবে ম্যাচের শেষ মুহূর্তে জোড়া গোল করে সেনেগালকে হারিয়ে দিলো লুইস ফন গালের শিষ্যরা।

সোমবার (২১ নভেম্বর) দোহার আল থুমামা স্টেডিয়ামে কাতার বিশ্বকাপের ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে কোডি গাকপোর গোলের পর শেষ বাঁশি বাজার আগমুহূর্তে ডেভি ক্লাসেনের গোলে বিশ্বকাপের শুভসূচনা করল ডাচরা। আর লড়াই করেও শেষের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল আফ্রিকার দেশ সেনেগাল।

এবারের বিশ্বকাপের তৃতীয় ম্যাচে তারকা ফুটবলার সাদিও মানেকে ছাড়া খর্ব শক্তির দল মনে হচ্ছিল সেনেগালকে। তবে মাঠের লড়াইয়ে ডাচদের সাথে সমানে সমান লড়াই করেছে আফ্রিকার দেশটি। ম্যাচের ৪ মিনিটেই সুযোগ আসে ডাচ মিডফিল্ডার গাকপোর সামনে। কিন্তু তিনি ফরোয়ার্ড বারউনের কাছে বল পাঠান। তবে তার শট সেনেগালের ডিফেন্স ব্লক করে দিলে গোলবঞ্চিত হয় নেদারল্যান্ডস।

ডাচদের গতিময় ফুটবলের বিপরীতে ম্যাচের ৯ মিনিটে সুযোগ পায় সেনেগালও। তবে পাপে মাতার সারের দূরপাল্লার শট ডাচ গোলপোষ্টের ওপর দিয়ে চলে যায়। ১৭ মিনিটে ডাচ শিবির আবারও সুযোগ পান। গাকপোর বাড়ানো বল ডেলে ব্লাইন্ড হেড করলে গোলবারে লেগে বাইরে চলে যায়।

মিনিট দুয়েক পরে কর্নার কিকের সহজ একটি সুযোগ মিস করেন ডাচ মিডফিল্ডার ডি ইয়ং। ম্যাচের ৩৯ মিনিটে ডাচ মিডফিল্ডার বারঘুইসের শট সেনেগালের চেলসির মিডফিল্ডার এডোয়ার্ডো মেন্ডি দুর্দান্তভাবে রুখে দেন। বল পজিশনে মোটামুটি সমান অবস্থানে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে দুই দলই। দ্বিতীয়ার্ধেও গোছানো ফুটবল খেলতে থাকে দুই দল। তবে ৫৬তম মিনিটে সেনেগালের ফরোয়ার্ড ইসমাইলা সারকে ফাউল করলে হলুদ কার্ড দেখেন ডাচ ডিফেন্ডার ম্যাথিস ডি লাইট। মিনিট দুয়েক পরে দিয়ালো একটি গোলের সুযোগ নষ্ট করেন।

গোলের দেখা না পেয়ে ডাচ কোচ ফন গাল খেলার কৌশলে পাল্টানোর জন্য ৬২তম মিনিটে মেমফিস ডিপাইকে তুলে নিয়ে ভিনসেন্ট জানসেনকে মাঠে নামান। যার ফলে সেনেগালও তাদের একাদশে চারটি পরিবর্তন আনেন। তবে কোনো দলই গোলের দেখা পাচ্ছিলেন না। ৭৯ মিনিটে নেদারল্যান্ডস শিবিরে দুটি পরিবর্তন আনেন।

এর পাঁচ মিনিট পরেই ম্যাচে প্রথম ও একমাত্র গোলের দেখা পায় নেদারল্যান্ডস। ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং ডি-বক্সের মধ্যে গাকপোকে পাস দেন। সেনেগালের ডিফেন্ডার মেন্ডি সে বল আটকাতে না পারলে উপরের দিকের কোনাকুনির শট সরাসরি জালে জড়ায়। ফলে ডাচরা ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। আর অতিরিক্ত সময়ের শেষ বাঁশি বাজার আগমুহূর্তে ডেভি ক্লাসেন গোল করলে ২-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে নেদারল্যান্ডস।


আরো পড়ুন