আফ্রিকার চ্যাম্পিয়ন সেনেগালকে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপ শুরু করলো নেদারল্যান্ডস। গতকাল সোমবার দোহার আল থুমামা স্টেডিয়ামে সেনেগালকে ২-০ গোলে হারায় ডাচরা। ২০১৪ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলা নেদারল্যান্ডস পরের আসরে খেলার যোগ্যতাই অর্জন করতে পারেনি। যার অধীনে ৮ বছর আগে সেমিতে উঠেছিল দলটি, সেই লুই ফন হালের অধীনেই কাতারে শুভসূচনা করলো নেদারল্যান্ডস।

চোটের কারণে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়া সাদিও মানের অভাব প্রথম ম্যাচেই বেশ ভালো করে টের পেয়েছে আলিউ সিসে। পুরো ম্যাচে তার শিষ্যরাই আক্রমণ সাজিয়েছে বেশি। গোলের জন্য শট নেওয়াতেও ছিল এগিয়ে। তবে গোল করতে ব্যর্থ মানেবিহীন সেনেগালিজ আক্রমণভাগ। ভুল কম করেনি ডাচরাও। গোলমুখে দলটির ফুটবলাররাও ছিল হতশ্রী। তবে ম্যাচের শেষদিকে দুটি গোল পেয়ে যায় তারা।

আল থুমামায় প্রথমার্ধে কোনো গোল না হলেও, সেনেগাল-নেদারল্যান্ডসের আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠে ম্যাচ। সেই ধারা বজায় ছিল দ্বিতীয়ার্ধেও। এ অর্ধে দুই দল গোল পেতে আরও মরিয়া হয়ে ওঠে। কিন্তু গোলের দেখা পাচ্ছিল না কেউ। ৮৪ মিনিটে সমস্ত হতাশা দূর করেন কোডি গাকপো। ভাঙেন ডেডলক। প্রথমার্ধে গোলের সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করা ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংয়ের পাস থেকে হেডে গোল করেন এই মিডফিল্ডার।

নানা কারণে ম্যাচে সময় নষ্ট হওয়ায় ইনজুরি সময় হিসেবে বাড়তি ১১ মিনিট খেলার সুযোগ পায় সেনেগাল-নেদারল্যান্ডস। বিষয়টি সেনেগালের জন্য ইতিবাচক ছিল। লম্বা সময় পাওয়ায় গোল শোধ দেওয়ার সুযোগ বাড়ে তাদের। তবে কিসের কী! ইনজুরি সময়ে উল্টো গোল পেয়ে যায় ডাচরা। সেনেগাল অধিনায়ক কালিদু কুলিবালিকে পরাজিত করে মেম্ফিস ডিপাই নেন গোলের জন্য শট। গোলরক্ষক এডুয়ার্ড মেন্ডি সে শট ঠেকালেও বল চলে যায় আগুয়ান ড্যাভি ক্লাসেনের পায়ে। বদলি হয়ে নামা এই মিডফিল্ডারই সেনেগালের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন।