• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২৪ পূর্বাহ্ন

পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা নিহত

/ ২০৩ বার পঠিত
আপডেট: রবিবার, ২০ নভেম্বর, ২০২২

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এক ছাত্রদল নেতা নিহত হয়েছেন।এ সময় আহত হয়েছেন পুলিশের ছয় সদস্য। শনিবার (১৯ নভেম্বর) রাতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিরাজুল ইসলাম। এর আগে একই দিন বিকেলে উপজেলা সদরের মোল্লা বাড়ির সামনে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হন তিনি। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির দুই কর্মী রফিকুল ইসলাম (৪২) ও সাইদুর রহমানকে (২৫) আটক করেছেন পুলিশ।

নিহত ব্যক্তি হলেন, উপজেলার চরশিবপুর এলাকার রহমত উল্লাহর ছেলে নয়ন মিয়া। তিনি উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ছিলেন। বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপি ও স্থানীয় লোকজন জানান, আগামী ২৬ নভেম্বর কুমিল্লায় বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলা সদর এলাকায় প্রচারপত্র বিলি করে। প্রচারপত্র বিতরণ শেষে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহের সাবেক ভিপি সায়েদুজ্জামান কামালের নেতৃত্বে উপজেলা সদরে মোল্লাবাড়ি থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা একটি মিছিল বের করে। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন। মিছিলটি উপজেলা সদরের বাজার, বাঞ্ছারামপুর থানা ও উপজেলা পরিষদ এলাকা অতিক্রম শেষে পুনরায় মোল্লা বাড়ির মসজিদের সামনে গিয়ে জড়ো হয়। সেখানে বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলমের নেতৃত্বে পুলিশ জড়ো হয়ে সায়েদুজ্জামান কামালকে আটক করতে যায়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের হাতাহাতি থেকে একপর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া শুরু হয়।

এদিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোঁড়ে। এ সময় নয়ন গুলিবিদ্ধ হন। তবে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম (৪১), পরিদর্শক (তদন্ত) তরুণ কান্দি দে (৩২), উপ-পরিদর্শক আফজাল হোসেন (৩০) ও বিকিরণ চাকমা (৩২), কনস্টেবল শফিকুল ইসলাম (৩৩) ও বিশ্বজিৎ চন্দ্র দাস (২৬)। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহের সাবেক ভিপি সায়েদুজ্জামান কামাল বলেন, কোনো রকম উস্কানি ছাড়াই পুলিশ অতর্কিত গুলি ছোড়ে। এতে ছাত্রদল নেতা নয়ন গুলিবিদ্ধ হয়।

এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম বলেন, বাঞ্ছারামপুর সদরে শনিবার বিকেলে বিএনপির ১০০ থেকে ১৫০ নেতাকর্মী আকস্মিক মিছিল নিয়ে থানার সামনে জড়ো হয়। পুলিশকে উদ্দেশ্য করে তারা ইটপাটকেল ছোড়া শুরু করে। সেখানে থাকা টহল দলের দুই কনস্টেবলের কাছ থেকে তারা অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় কনস্টেবল এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলায় তিনিসহ ছয় পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশ বিরোধী ও সরকার বিরোধী বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিয়ে থানামুখী হয়ে আমাদের ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।


আরো পড়ুন