• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৭:৫৮ অপরাহ্ন

পৌর বঙ্গবন্ধু মেইন সড়ক দেড় কিলোমিটার সড়কে ৪ বছরের ভোগান্তী

/ ৯১ বার পঠিত
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২২

ত্রিশাল(ময়মনসিংহ)প্রতিনিধিঃ
ময়মনসিংহের ত্রিশালে রাতভর বৃষ্টির কারনে পানিতে তলিয়ে পৌর শহরের একমাত্র মেইন সড়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রোডের বেহাল দশা। মানুষের চলাচলে চরম দূর্ভোগ পুহাতে হচ্ছে। দেড় কিলোমিটার সড়কের জন্য ৪ বছরেও ভোগান্তীর শেষ নেই।

সরেজমিনে দেখাযায়, এ সড়কটি ত্রিশাল পৌর এলাকার মেইন সড়ক। কয়েক বছর যাবৎ খান্দা খন্দে চলাফেরা করছে যাবাহনসহ সাধারন মানুষ। একটু বৃষ্টি হলেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরে এ সড়কটি। এত দিন বৃষ্টি না থাকায় মানুষ চলাফেরা করতে পেরেছে। কিন্তু গতকাল থেকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাতভর বৃষ্টির কারনে পানিতে তলিয়ে পৌর শহরের একমাত্র মেইন সড়ক। পায়ে হেটে চলা তো দুরের কথা গাড়ী নিয়ে যাওয়ায় দুষ্কর হয়ে পড়েছে। থানার সামনে খানা খন্দে গাড়ী আটকে বিকল হচ্ছে। আবার অনেক যানবাহন উল্টে পড়ে আছে। যা মানুষের জন্য মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। কাদা, গর্ত হওয়ার কারণে এ নিয়ে বিপাকে পড়ছে পৌর এলাকার হাজারও মানুষ।

পৌর দরিরামপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে চিকনা মোড় পৌরসভার অংশটুকুর বিভিন্ন জায়গায় ভেঙ্গে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে । আর এই গর্তের ফলে এই সড়ক দিয়ে গাড়ি চলাচল ঝুকিপূর্ণ ও খুবই কষ্ট কর। এ সড়কে স্কুল ,কলেজ, অফিস, মাকের্টসহ প্রতিদিন হাজারো মানুষের চলাচল। বৃষ্টির সময় ইট বালি ফেলে কোন রকম চলার উপযোগী করা হলেও বৃষ্টির পানি ও মাছের গাড়ীর পানির কারনে দুর্ভোগে মানুষ।

সড়ক দিয়ে চলাচলকারী শফিকুল ইসলাম বলেন, এ সড়কটি অনেক দিন ধরেই চলাচলের অনুপযোগী। পৌর মেইন সড়কের এমন বেহাল অবস্থায় যানচলাচল খুবই কষ্টকর। এখনে গাড়ী উল্টে অনেকেই আহত হয়েছে। কাঁদা, পানি মাড়িয়ে পায়ে চলা দুষ্কর। এটা দ্রæত সংস্কার দরকার। কারন এই সড়ক দিয়ে স্কুল, কলেজ, ব্যাংক, শপিংমলের শিক্ষার্থীসহ সাধারন মানুষের আনাগোনা থাকে রাতভর।

এ সড়ক দিয়ে নিয়মিত অটো ভ্যান চালক আমজাত বলেন, থানার সামনে, চড়–ই তলা এলাকায় সড়ক বেশী ভেঙ্গে গেছে। এখান দিয়ে গাড়ী নিয়ে গেলে খুব ভয় লাগে কখন যেন উল্টে যায়। সড়কের খানাখন্দে অনেক গাড়ী উল্টে মানুষ আহত হয়েছে। এ সড়ক দিয়ে মাছের গাড়ী চলাচলের কারনে গাড়ীর পানি সব সময় পড়ে খানা খন্দেও সৃষ্টি হয়। বৃষ্টি না থাকলেও সারা বছরই পানি জমে থাকে।

ত্রিশাল পৌর ভারপ্রাপ্ত মেয়র রাশিদুল হাসান বিপ্লব জানান, এ সড়কটির কাজ আগামী তিন/চার মাসের মধ্যেই শুরু হবে। ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটির দুই পাশে ড্রেনসহ আরসিসি ডালাই দিয়ে করা হবে। মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে সংস্কারের মাধ্যমে চলা চলের উপযোগী করা হবে।


আরো পড়ুন