• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন

জিয়াউর রহমানের অনুমতি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে শাহাজান খান-ভিডিও

/ ১৩৬ বার পঠিত
আপডেট: বুধবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২২

সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সম্পাদক মন্ডলী সদস্য শাহাজান খান বলেছেন জিয়াউর রহমানের অনুমতি নিয়ে কর্নেল ফারুকের নেতৃত্বেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। গতকাল ২৩ অক্টোবর কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিল সম্মেলনের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য জনাব শাহজাহান খান এমপি বলেছেন – খুনিরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পূর্বে কর্নেল ফারুকের নেতৃত্বে দুষ্কৃতিকারী একটি সোনা সদস্যের দল তৎকালীন সেনাপ্রধান মেজর জিয়াউর রহমানের সাথে একটি মিটিং করেছিলেন এবং বলেছিলেন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পরিকল্পনাটা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরিকল্পনা শুনে মেজর জিয়াউর রহমান উপস্থিত সেনা সদস্যদের বলেছিলেন -” তোমরা জুনিয়র তাই তোমরা এটা করতে পারো।

আমি যেহেতু সিনিয়ার সেহেতু আমি এটার সাথে থাকতে পারিনা”। সেদিন মেজর জিয়া একজন সেনা কর্মকর্তা হয়েও দেশের কর্ণধার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পরিকল্পনা টা অবগত করার নেই এবং যেহেতু তিনি মৌন সমর্থন দিয়েছেন সেহেতু তিনিও এই খুনের সাথে জড়িত। একজন সেনা কর্মকর্তা হিসেবে মেজর জিয়াউর রহমানের দায়িত্ব ও কর্তব্য ছিলো বিষয়টি বঙ্গবন্ধুকে অবগত করা। তিনি আরো বলেন বিএনপি’র জন্ম হয়েছে সেনা অভ্যুত্থান এর মাধ্যমেই। তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে তাই পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসার জন্য বিভিন্ন ধরনের দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তে লিপ্ত। তিনি গত ২৩ অক্টোবর কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিল সম্মেলনের প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে একথা বলেন।

আলহাজ্ব কবির উদ্দিন সরকার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন – আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা – জনাব সাখাওয়াত হোসেন শফিক। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন – আওয়ামী লীগ সরকার যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই দেশের উন্নয়ন হয়েছে। দেশের উন্নয়নের জন্য তাই আওয়ামী লীগ সরকারের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন – কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এডভোকেট সফুরা বেগম ( সাবেক এমপি) , কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য – অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া ( সাবেক এমপি), প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী – মোঃ জাকির হোসেন এমপি। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন – কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু।

তিনি বলেন – আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কুড়িগ্রাম জেলায় এত উন্নতি হয়েছে যে – এখন আর কেউ কুড়িগ্রাম জেলাকে মঙ্গা পীরিত অঞ্চল বলে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সোনার বাংলা গঠনের রোড ম্যাপে দলের মধ্যে কোন অনুপ্রবেশকারীর স্থান না হয় সেদিকে আমাদেরকে খুব সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন – কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক – জনাব জাফর আলী।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন – জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি – সাঈদ হাসান নোবান, যুগ্ম সম্পাদক – আনম ওবায়দুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক – ফজলে নূর তানু, সাংগঠনিক সম্পাদক – মোস্তাফিজুর রহমান সাজু, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক- আলহাজ্ব এডভোকেট রুহুল আমিন দুলাল, কুড়িগ্রাম পৌরসভার মেয়র – জনাব কাজিউল ইসলাম, উলিপুর পৌরসভার মেয়র – আলহাজ্ব মামুন সরকার মিঠু, কুড়িগ্রাম – ৩ আসনের সংসদ সদস্য – এম এ মতিন, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক – আনিসুর রহমান চাঁদ সহ জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।


এবারের কাউন্সিলে সভাপতি পদে ১২ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ২৪ জন সিভি জমা দেন। অনেক বিচার বিশ্লেষণ করে নির্বাচকমণ্ডলী ও জেলা নেতৃবৃন্দ রাত সাড়ে তিনটায় আগামী তিন বছরের জন্য উলিপুর উপজেলার নতুন সভাপতি আহসান হাবীব রানা ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টু কে ঘোষণা করেন।


আরো পড়ুন