• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১২ পূর্বাহ্ন

সরকারের নির্দেশে বাস চলাচল বন্ধ করা হয়েছে : রুহুল কবির রিজভী

/ ১১০ বার পঠিত
আপডেট: শনিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২২

খুলনায় বিএনপির গণসমাবেশকে ঘিরে সরকার মূলত: সান্ধ্য আইন জারি করেছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, সমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতেই সরকারের নির্দেশে আন্ত:জেলা রুটে বাস চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু জনতার ঢলে পরিপূর্ণ এখন খুলনা শহর। তারা তাদের অধিকার ফিরে পেতেই সকল চ্যালেঞ্জ উপেক্ষা করে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশে যোগ দিয়েছেন। আজ শনিবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, সরকারের নির্দেশে সমাবেশের দুই দিন আগে সড়ক পরিবহন ও লঞ্চ ধর্মঘট শুরু করা হয়। সরকারের নির্দেশে এই ধর্মঘটে চরম দুর্ভোগে পড়ে সাধারণ মানুষ, রোগী, পরীক্ষার্থীরা। গতকাল থেকে ফেরি ও নৌ চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। সমাবেশে যাতে লোক সমাগম না হয়, তার সকল চেষ্টাই করে যাচ্ছে সরকার।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় খুলনায় যে বাড়িতে অবস্থান করছিলেন সেই বাড়ির লোকজনসহ সেখান থেকে প্রায় ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুধু স্থানীয় নেতা কর্মীরাই নয়, ঢাকা থেকেও যেসব বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা খুলনা গেছেন তাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়েছে। জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে মাগুরা স্বেচ্ছাসেবক দলের একটি মাইক্রোবাস সমাবেশ স্থলে যাওয়ার পথে পুলিশ আটক করে তাদের গ্রেপ্তার করে গতকাল তাদের আদালতে প্রেরণ করেছে।

রিজভী বলেন, সাতক্ষীরা থেকে বাসযোগে সমাবেশে আসার পথে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ৫০ জন নেতা কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাগেরহাট থেকে আসার পথে বিএনপি নেতা কর্মীদের বহনকারী একটি ট্রলার আটকিয়ে দিয়েছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। ঝিকরগাছা থেকে আসার পথে ৩০/৪০ জন নেতা কর্মীকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ব্যাপক মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে, পুলিশ তাদের আটক করেছে। কেশবপুর থেকে সমাবেশ স্থলে আসার পথে সোনাডাঙ্গায় ‘এই গাড়ি থাম’ বলে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হকিস্টিক, রড ও ছুরি দিয়ে বিএনপি নেতা কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে ভয়ানক জখম করেছে। সন্ত্রাসীরা তাদের কাছ থেকে টাকা পয়সা ও মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে। সমাবেশ স্থলের আশপাশসহ খুলনা মহানগরীর প্রবেশ পথে নেতা কর্মীদের ঢুকতে বাধার সৃষ্টি করা হয়েছে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, সকল বাধা উপেক্ষা করে খুলনা বিভাগীয় সমাবেশকে সফল করতে নেতা কর্মীরা প্রবল আনন্দ-উদ্দীপনায় খুলনা সোনালী ব্যাংক চত্বরে ইতিমধ্যে লাখো মানুষের ঢল নেমেছে। পথিমধ্যে অনেকেই খবরের কাগজ কিংবা চাদর বিছিয়ে রাত্রি যাপন করেছে, এ যেন এক অভূতপূর্ব দৃশ্য।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, সহ দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন ভুইয়া শিশির, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ জাহেদুল কবির জাহিদ ও ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি প্রমুখ।


আরো পড়ুন