• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:৪৩ অপরাহ্ন

দুই মাসেও শিক্ষক দম্পতির মৃত্যুর রহস্য জট খোলেনি

/ ১০৮ বার পঠিত
আপডেট: বুধবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২২

গাজীপুরে প্রাইভেটকারের ভেতর থেকে শিক্ষক দম্পতির লাশ উদ্ধারের ঘটনার দুই মাস পেরিয়ে গেলেও মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।


গত ১৮ আগস্ট টঙ্গীর বগারটেক এলাকার জয়বাংলা সড়কের পাশে প্রাইভেটকারের ভেতর থেকে টঙ্গীর শহিদ স্মৃতি স্কুলের প্রধান শিক্ষক জিয়াউর রহমান মামুন ও তার স্ত্রী আমজাদ আলী স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা জেলি আক্তারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় বিচার চেয়ে ইতোমধ্যে মানববন্ধন করে নিহতদের স্বজন, সহকর্মী ও শিক্ষার্থীরা। তবে শিক্ষক দম্পতির মৃত্যুর রহস্যের এখনো কোনো কূলকিনারা করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ফলে ওই শিক্ষক দম্পতির স্বজনদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।

মঙ্গলবার রাতে নিহত প্রধান শিক্ষকের ছোটভাই জিয়াউল ইসলাম রিপন যুগান্তরকে বলেন, এখন শুধু অপেক্ষার সান্ত্বনা নিয়ে দিন পার করছি। দুই মাস পেরিয়ে গেলেও মৃত্যুর কোনো কারণ জানা গেল না, এটি দুঃখজনক। তবে এখনো আশায় আছি, এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন হবে।

এদিকে রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশ বিভিন্ন পরীক্ষা ও বিশেষজ্ঞ মতামতের ওপর ভিত্তি করে তদন্তের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে যুগান্তরকে জানান গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপির) গাছা থানার ওসি ইব্রাহিম হোসেন পিপিএম।

তিনি বলেন, মৃত্যুর কারণ জানতে পুলিশের পাশাপাশি র্যা ব, পিবিআই, সিআইডি কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষক দম্পতির মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত করতে নমুনার রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য ঢাকার সিআইডি ল্যাবে পাঠানো হয়। প্রাথমিক পরীক্ষায় লাশ দুটির ফুসফুস ও কিডনিতে জমাট রক্ত পান ডাক্তাররা।

কয়েকটি বিষয়ের বিশেষজ্ঞদের মতামত পেলে এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করা সহজ হবে। এ ছাড়া বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে গাড়ির এসি এবং অন্যান্য যন্ত্রাংশ পরীক্ষার জন্য সিআইডিতে পাঠিয়েছি। এ নিয়ে বিশেষজ্ঞ প্রতিবেদন পাওয়া গেলেই এ মৃত্যুর রহস্যের জট খুলে যাবে।


আরো পড়ুন