• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন

জাল টাকায় ভোট ক্রয়, রায়গঞ্জে তোলপাড়

/ ১২০ বার পঠিত
আপডেট: বুধবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

জেলা পরিষদ নির্বাচনে একজন সদস্য পদপ্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোটারদের জাল টাকা দিয়ে ভোট কিনেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের বিজয়ী প্রার্থী সুমন সরকার এমন কাজ করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন সাত ইউপি সদস্য। অভিযুক্ত প্রার্থী সুমন সরকার রায়গঞ্জ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। জেলা পরিষদের সদস্য পদে (বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। এর আগেও তিনি জেলা পরিষদের সদস্য ছিলেন।

প্রতারণার শিকার ভোটাররা জানায়, তারা রাতে টাকা নেওয়ার পর নির্দিষ্ট প্রতীকে রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া মডেল উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। পরে যার যার মতো করে প্রার্থীর দেওয়া টাকা নিয়ে কেনাকাটা করতে গেলে জাল টাকার বিষয়টি ফাঁস হয়। এরপর দ্রুত প্রার্থীকে জানালে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, জাল নোট যার কাছে পাওয়া যাবে তাকেই কিন্তু পুলিশ পাকড়াও করবে।

একজন ভোটার বলেন, আগের রাতে তাদের ওই প্রার্থী নিজ হাতে টাকার বান্ডিল বিতরণ করেছেন। বিতরণকালে তিনি বলেন, এই টাকা ভোটের আগে যেন খরচ না করা হয়। খরচ করলে টাকা দেওয়ার বিষয়টি জানাজানি হয়ে যাবে। এতে তার ক্ষতি হবে। তার কথা অনুযায়ী ভোটের আগে টাকাগুলো খরচ করিনি কেউ। ভোট দেওয়ার পর স্থানীয় ধানগড়া বাজারে গেলে দোকানদার টাকা হাতে নিয়ে উল্টিয়ে দেখে বলেন-এগুলো জাল নোট। এরপর টাকাগুলো নিয়ে প্রার্থীর কাছে গেলে তিনি পুলিশে ধরিয়ে দেবেন বলে ভয়ভীতি দেখান। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। মশকরাও করছেন অনেকে।

ওই ওয়ার্ডের পরাজিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী গোলাম মোস্তফা বলেন, তিনি জালনোটের বিষয়টি ফেসবুকের মাধ্যমে জেনেছেন। তবে কে কাকে জাল টাকার বান্ডিল দিয়েছেন সেটি তার জানা নেই। এ অভিযোগ অস্বীকার করে বিজয়ী প্রার্থী সুমন সরকার বলেন, তিনি নির্বাচিত হওয়ায় তার প্রতিপক্ষরা এমন মিথ্যা গুজব ছড়াচ্ছেন। আমি কোনো ইউপি সদস্যকে জাল টাকার বান্ডিল দেইনি। এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নই। তবে নির্বাচনে অর্থ লেনদেন করা দণ্ডনীয় অপরাধ।


আরো পড়ুন